প্রচেতা
হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র।
সৃষ্টির আদিকল্পে প্রচেতা
জন্মলাভ করেছিলেন। মহাভারতের মতে– ব্রহ্মা ব্রহ্মাণ্ডের ভিতরে অবস্থানের
সময় কয়েকজন আদিপুরুষ
তৈরি করেছিলেন। এঁর ভিতরে দশ প্রচেতা ছিলেন।
'প্রথমতঃ এই বিশ্বসংসার কেবল ঘোরতর অন্ধকারে আবৃত ছিল। অনন্তর সমস্ত বস্তুর বীজভূত এক অণ্ড প্রসূত হইল। ঐ অণ্ডে অনাদি, অনন্ত, অচিন্তনীয়, অনির্ব্বচনীয়, সত্যস্বরূপ, নিরাকার, নির্ব্বিকার, জ্যোতির্ময় ব্রহ্ম প্রবিষ্ট হইলেন। অনন্তর ঐ অণ্ডে ভগবান্ প্রজাপতি ব্রহ্মা স্বয়ং জন্ম পরিগ্রহ করিলেন। তৎপরে স্থাণু, স্বায়ম্ভব মনু, দশ প্রচেতা, দক্ষ, দক্ষের সপ্ত পুৎত্র, সপ্তর্ষি, চতুর্দ্দশ মনু জন্মলাভ করিলেন।
[সূত্র: মহাভারত। (কালীপ্রসন্ন সিংহ অনূদিত,) অনুক্রমণিকাধ্যায়।..সৃষ্টিবর্ণন ]
প্রচেতার দশটি সন্তান ছিল। এদের পৃথক নাম ছিল না। তাই এরা দশ
প্রচেতা নামে অভিহিত হতো। এই দশ প্রচেতার প্রত্যেকই রাক্ষসে পরিণত হয়েছিল। এই
কারণে
পিতা (প্রচেতা)
মুখনির্গত অগ্নি দ্বারা এই পুত্রদের দগ্ধ করেন।
পরে তনি দক্ষ নামক এক পুত্রের জন্ম দেন।
[
সূত্র: মহাভারত। আদিপর্ব।
পঞ্চসপ্ততিতম অধ্যায়। সাধারণ সৃষ্টিবর্ণন।]
অত্রির বংশে জন্মগ্রহণ
করেছিলেন- প্রাচীনবর্হি। প্রাচীনবর্হির মোট দশজন পুত্র ছিল- এঁরা
দশ
প্রচেতা নামে
খ্যাত ছিলেন।
[সূত্র: মহাভারত।
শান্তিপর্ব।
অষ্টাধিকদ্বিশততম
অধ্যায়। প্রজাপতিবিবরণ-সৃষ্টিবিস্তার]