প্রজ্ঞা
বানান বিশ্লেষণ: প্+র্+ঞ্+জ্+আ।
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত প্রজ্ঞা> বাংলা প্রজ্ঞা
উচ্চারণ:
pro.gæ̃ (প্রোগ্.গ্যাঁ)
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: প্র- জ্ঞা {√জ্ঞা (জানা) + অন্ (ল্যুট)ভাববাচ্য । ক্লীবলিঙ্গ ।
পদ : বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {প্রজ্ঞা । জ্ঞান | অভিজ্ঞা | মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা }

অর্থ: প্রকৃষ্টরূপ জ্ঞান লাভকে বলা হয় প্রজ্ঞা। মানুষ ইন্দ্রিয় দ্বারা যা অনুভব করে, তার দ্বারা সে জ্ঞান লাভ করে। বুদ্ধির জগতে এটি একটি প্রাথমিক ধাপ। সাধারণভাবে গৃহীত অনুভবকে যখন মানুষ গভীরভাবে বিবেচনা করে, তখনই প্রজ্ঞার সৃষ্টি হয়।

ধরা যাক কোনো একজন একটি বস্তুকে হাত দিয়ে ধরে সে গরম অনুভব করলো। এর দ্বারা তার ওই বস্তুর উষ্ণতা সম্পর্কে একটি জ্ঞানের সৃষ্টি হলো। এখান থেকে তার একটি উপলব্ধির জন্য হলো। এর দ্বারা একটি নতুন বিষয় উন্মোচিত হলো। এটি তার কাছে একটি আবিষ্কারও বটে। এই উপলব্ধি এবং এবং আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট শিক্ষা লাভ হলি। আর এই তিনটি বিষয়ের মধ্য দিয়ে সে গভীরভাবে বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করলো। এই গভীর জ্ঞানই হলো প্রজ্ঞা। কোনো কিছু সম্পর্কে গভীরভাবে জানার ইচ্ছার মধ্য দিয়ে মানুষের মনে চিন্তার সৃষ্টির হয়। এই আগ্রহ থেকে আমি প্রাপ্ত জ্ঞানকে প্রাসারিত করতে চায়। এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে সৃষ্টি হয় ভাবনা আবার প্রজ্ঞার ভিতর দিয়ে মানুষ অভিজ্ঞতা লাভও করে। অভিজ্ঞতাকে মানুষ অন্যান্য কাজে বা ভাবনায় ব্যবহার করে থেকে। আবার প্রজ্ঞার ভিতর দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তার ভিতর দিয়ে মানুষের মনে বিশ্বাসের জন্ম নেয়।

সমার্থক শব্দাবলি: প্রকৃষ্ট জ্ঞান, প্রগাঢ় জ্ঞান।
ইংরেজি:
content, cognitive content, mental
সূত্র: