আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : sɔ
ইউনিকোড: u+09B8
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms):

এই বর্ণের নাম -বাংলা বর্ণমালার দ্বিচত্বারিংশ (৪২) বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের ৩১ সংখ্যক বর্ণ

স-এর উচ্চারণ রূপ

এটি উষ্ম,
অঘোষ, স্বল্পপ্রাণ ধ্বনি স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য রূপ হলো- শ-এর মতো স্থান বিশেষে এই বর্ণটি শ-এর পূরক ধ্বনি হিসেবে স (s)-এর মতো হয়। দেখা যায়, অন্য ব্যাঞ্জনধ্বনি এই ধ্বনির সাথে যখন যুক্ত হয়, তখন এর উচ্চারণে নানা রকমের পরিবর্তন ঘটে। এর যুক্তবর্ণগুলো ব্দের আদি, মধ্য বা অন্ত্যে হতে পারে। এইভাবে এর যুক্ত বর্ণের শ্রেণিকরণ করার পিছনে প্রধান কারণ হলো- এই যুক্তধ্বনি শব্দের আদি, মধ্য বা অন্ত্যের  বিচারে ধ্বনিগত বিচারে পরিবর্তিত হয়। নিচে স-এর উচ্চারণ বিধি দেওয়া হলো।
 

আদ্য শ-যুক্ত যুক্তধ্বনি:

মধ্য ও অন্ত্য যুক্তধ্বনি:


 

শ্রবণ নমুনা


স-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি থেকে স-উদ্ভূত হয়েছে খ্রিপূর্ব তৃতীয় থেকে প্রথম শতাব্দীর ভিতরে এই বর্ণটি বিভিন্ন চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে নিচের ছকে এই বিবর্তিত রূপগুলোর নির্দশন তুলে ধরা হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) গুপ্তলিপিতে বিচিত্র ধরনের স-এর প্রকরণ পাই নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

কুটিললিপিতে আমরা স-এর যে রূপটি পাই, তারই রকমফের পরবর্তী সময়ের চিহ্নগুলোতে পাওয়া যায় নিচের এই পরিবর্তনের নমুনাগুলো দেখানো হলো


দেখুন :

স (ক্রিয়ামূল)
(প্রত্যয়)
স (সন্) (প্রত্যয়)