সত্তা
বানান বিশ্লেষণ: স্+অ+ত্+ত্+আ
উচ্চারণ:
ʃɔt̪.t̪a (শত্. তা)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত, সত্তা> বাংলা সত্তা
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
অস্(হওয়া) +অৎ (শতৃ)= সৎ   + তা (তল্)
পদ : বিশেষ্য
১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { সত্তা | ০ |}
অর্থ: সত্তাতত্ত্বের
(Ontology) একটি পারিভাষিক শব্দ। শব্দের সত্তাতত্ত্বে স্বীকার করে নেওয়া হয়, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বা মনোলোকে উৎপন্ন সকল শনাক্তকারী বিষয়বস্তু কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এই বৈশিষ্ট্যের সমন্বিত রূপ হলো- সত্তার ধর্ম। এই সত্তাধর্মের বিচারে প্রতিটি বিষয়বস্তু পৃথক পৃথক নামে চিহ্নিত করা হয়। এই রূপ স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে এমন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বা জ্ঞাত বা মন দ্বারা সিদ্ধান্তকৃত বিষয়কে সত্তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
            বিস্তারিত দেখুন: সত্তা

২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { মনোগত দশা | অবস্থা | সত্তাগুণ | বিমূর্তন| বিমূর্ত-সত্তাসত্তা|}
অর্থ: কোনো ঘটনা বা বিষয়, যা মনের ভিতের বিরাজ করে, কিন্তু তার সত্তা হিসেবে স্থিতি আছে। যেমন: পরম সত্তা। ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষের মনোগত দশায় এই সত্তা বিরাজ করে। এই বিদ্যমানতার অবস্থান হলো-  বিদ্যমানতা বা অস্তিত্ব।
ইংরেজি:
being, beingness, existence

সমার্থক শব্দাবলি: অস্তিত্ব, সত্তা, বিদ্যমানতা, বিরাজমানতা, সদ্‌ভাব, স্থায়িত্ব, স্থিততা, স্থিতত্ব, স্থিতিশীলতা, অপরিবর্তনীয়তা।

৩. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | এককঅংশ | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা | }
অর্থ: বস্তুজগতের বস্তুসমূহ পৃথক পৃথকভাবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলে। ফলে প্রতিটি বস্তু এককভাবে স্বমহিমার অধিকারী হয়ে থাকে। একে বলা বস্তুসত্তা। এই বিচারে গ্রহ, নক্ষত্র, পাহাড়, নদী, মানুষ ইত্যাদি বিদ্যামনাতার সূত্রে নাম এক একটি সত্তা।

সূত্র: