প্রাগৈতিহাসিক ভাষা
ভাষা পরিবার : ইন্দো-ইউরোপিয়ান
ভাষা উপ-পরিবার :   ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা
শাখা :
ভারতীয়-আর্য ভাষা
উপ-শাখা : পূর্বাঞ্চলীয় আর্য ভাষা
গোষ্ঠী: মাগধি
উপগোষ্ঠী:  মাগধী অপভ্রংশ বা মাগধী অবহট্ট
গোত্র: পূর্বাঞ্চলীয় মাগধী অপভ্রংশ

গোষ্ঠী : বাংলা-আসাম ভাষা গোষ্ঠী

বাংলা-অহমিয়া ভাষা গোষ্ঠী

মানুষের কথিত ভাষার ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা পরিবারের একটি ভাষা গোষ্ঠী। ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে এই ভাষা বিকশিত হয়েছিল,
ভারতীয়-আর্য ভাষা'পূর্বাঞ্চলীয় আর্য ভাষা উপ-শাখা থেকে। 

খ্রিষ্ট-পূর্ব ১৫০০ অব্দের দিকে ইন্দো-ইরানিয়া ভাষার একটি দল ইরান থেকে ভারতে প্রবেশ করে। এরা স্থানীয় অনার্যদের পরাজিত করে পাঞ্জাবে বসতি স্থাপন করে। খ্রিষ্ট-পূর্ব ৮০০ বৎসরের ভিতরে ভারতীয় ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষার পরিবর্তন ঘটে। এই সময়ের ভিতরে এই পরিবর্তিত ভাষার নমুনা পাওয়া যায় ঋগ্বেদ। ধারণা করা হয়, ঋগ্বেদের শ্লোকগুলো রচিত হয়েছিল খ্রিষ্ট-পূর্ব ১২০০-১০০০ বৎসরের ভিতরে। বিভিন্ন ঋষিদের রচিত বিভিন্ন শ্লোকগুলো একত্রিত করে যে সংকলিত গ্রন্থ প্রস্তুত করা হয়, তাই ঋগ্বেদ নামে পরিচিতি লাভ করে। এরপর লেখা হয় অন্য তিনটি বেদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য গ্রন্থ। গোড়ার দিকে সকল বেদ সংকলিত হয়ে একটি বেদ-আকারে ছিল। বেদের ভাষাকে বলা হয় বৈদিক ভাষা।  খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দের দিকে বেদব্যাস বেদ ও এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বেদ বিভাজন করেছিলেন।

খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৫০০ অব্দের ভিতরে বৈদিক সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়েছিল। এই পরিবর্তনের একটি চূড়ান্ত রূপ পাওয়া যায় পাণিনির রচিত সংস্কৃত ব্যাকরণ 'অষ্টাধ্যায়ী' থেকে। পাণিনি এই গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ অব্দের দিকে। বৈদিক সংস্কৃতি বিবর্তনের ভিতর দিয়ে একটি পরিমার্জিত ও পরিশীলিতরূপ লাভ করেছিল। এই সূত্রে পাণিনির ব্যাকরণের ভাষাকে নামকরণ করা হয়ে থাকে সংস্কৃত

পূর্বভারতে সংস্কৃত ভাষার আঞ্চলিক রূপকে পূর্বাঞ্চলীয় ভাষা উপ-শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ভাষা উপ-শাখা থেকে উৎপন্ন হয়েছে ৪টি ভাষা গোষ্ঠী। এই ভাষাগোষ্টীগুলোর একটি হলো- বাংলা-অহমিয়া ভাষা গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীতে রয়েছে মোট ১৬টি ভাষা। এই ভাষাগুলো হলো-


সূত্র :
সাধারণ ভাষা বিজ্ঞান ও বাংলা ভাষা। ডঃ রামেশ্বর শ।
http://en.wikipedia.org/wiki/Indo-Aryan_languages
http://www.ethnologue.com/subgroups/eastern-zone