প্রাগৈতিহাসিক ভাষা
প্রাগ্-ভাষা পরিবার: প্রাক ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার
ভাষা পরিবার:
ইন্দো-ইউরোপিয়ান
ভাষা উপ-পরিবার:   ইন্দো-ইরানিয়া ভাষা
শাখা:  ভারতীয়-আর্য ভাষা

উপ-শাখা: পূর্বাঞ্চলীয় আর্য ভাষা
গোষ্ঠী:
মাগধি
উপগোষ্ঠী:  মাগধী অপভ্রংশ বা মাগধী অবহট্ট
গোত্র: পূর্বাঞ্চলী মাগধি ও পশ্চিমাঞ্চলীয় মাগধি

ভাষা সঙ্কেত

আইএসও ৬৩৯-২ mag
আইএসও ৬৩৯-৩

অপভ্রংশ
বানান বিশ্লেষণ : অ+প্+অ+ব্+র্+অ+ং+শ্+অ।
উচ্চারণ:
ɔ.pob.bʱroŋ.ʃo (অ.প্রোব্.ভ্রোং.শো)
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত অপভ্রংশ>পভ্রংশ।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:  

১. অপ-ভ্রংশ্ (অধঃপতন) + অ (ঘঞ্), ভাববাচ্য
পদ: বিশেষ্য
র্থ:

. অধঃপতন, অধোগতি।
২. চ্যুতি, স্খলন।

২. অপ-ভ্রংশ্ (অধঃপতন) + অ (অচ্), কর্তৃবাচ্য
পদ: বিশেষ্য
অর্থ: যা সাধুভাষা থেকে ভ্রষ্ট এই অর্থে একে অপভাষাও বলা হয়। অন্য অর্থে ব্যাকরণদুষ্ট পদ, অশুদ্ধ কথা

খ্রিষ্ট-পূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে- বিশিষ্ট বৈয়াকরণ পতঞ্জলি তাঁর মহাভাষ্যে. প্রাচীন ভারতীয় প্রাকৃত ভাষাকে অপভ্রংশ নামে অভিহিত করেছিলেন। তিনি সংস্কৃত ভাষার বিচারে প্রাকৃতজনের ভাষাকে অধঃপতিত ভাষা হিসেবে এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন তাঁর মতে- অপভ্রংশ ছিলো শাস্ত্রহীনের ভাষা বা অশিষ্ট লোক-সাহিত্যের ভাষা হলো

ধুনিক কালে অপভ্রংশকে প্রাচীন ভারতের একটি ভাষা উপগোষ্ঠী এবং উপভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পূর্বাঞ্চলীয় আর্যভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছিল মাগধি ভাষা।
দক্ষিণ বিহারের মগধ নামে পরিচিত অঞ্চলের ভাষা
গোষ্ঠীকে সাধারণভাবে মাগধী বলা হয়। তবে এর বিস্তার ছিল ভারতের পশ্চিম থেকে পূর্বাঞ্চল পর্যান্ত। কালবিবর্তনের ধারায় এই ভাষাটি আদি রূপ হারিয়ে নূতন একটি রূপ লাভ করে। বর্তমানে এই ভাষাকে বলা হয় মাগধি অপভ্রংশ। তবে সাধারণভাবে একে অপভ্রংশও বলা হয়। পরে অপভ্রংশ পূর্ব পশ্চিমে ভাগ হয়ে যায়। আঞ্চলিকতার বিচারে ভাষাতাত্ত্বিকরা এর নামকরণ করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় মাগধি ও পশ্চিমাঞ্চলী মাগধি।


সূত্র :
ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপা। বৈশাখ ১৩৯৬।
ভাষার ইতিবৃ্ত্ত।
সুকুমার সেন। আনন্দ পাবলিশারস্ প্রাইভেট লিমিটেড। নভেম্বর ১৯৯৪।
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
। ডঃ মুহম্মদ শহীদউল্লাহ। মাওলা ব্রাদার্স। জুলাই ১৯৯৮
সাধারণ ভাষা বিজ্ঞান ও বাংলা ভাষা। ডঃ রামেশ্বর শ।
http://en.wikipedia.org/wiki/Indo-Aryan_languages
http://en.wikipedia.org/wiki/Magadhi_Prakrit