সুরশৈলী
যখন কিছু স্বর সমন্বিত দশায় একটি বিশেষ শৈলী তৈরি করে এবং তা ব্লক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে, কোনো বিশেষ ধরনের সুরকে উপস্থাপন করে- তখন তা সুরশৈলী হিসেবে পরিচিত লাভ করে।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | সুরশৈলী | সুর বিন্যাস | সুর | স্বরবিন্যাস | স্বর | সাঙ্গীতিক স্কেল | সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি | শ্রবণ যোগাযোগ | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্তা | সত্তা | }
ইংরেজি: musical phrase

ব্যাখ্যা: ক্ষুদ্র পরিসরে স্বরের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। স্বরের নানা রকম বিন্যাসে তৈরি হয় নানারকম সুর। কখনো এরূপ কিছু সুর একটি বিশেষ স্টাইল বা শৈলী রূপে প্রতীয়মান হয়। যেমন- ম র প। এই ক্ষুদ্র সুরটি মল্লার অঙ্গের রাগে ব্লক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বিশেষ বিশেষ সুরশৈলীর প্রয়োগে রাগের রূপাংশ তৈরি হয়। খেয়াল-ধ্রুপদের মতো মূল ধারার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সুরশৈলীকে সযত্নে প্রয়োগ হয়। এছাড়া রাগাশ্রী গানেও এই সুরশৈলীকে অনুসরণ করা হয়। একটি রাগের সুরশৈলী অন্য রাগে কৌশলে প্রয়োগের সূত্রে 'আবির্ভাব' ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। রাগের 'তিরোধান' ক্রিয়ায়, আগন্তুক রাগের সুরশৈলীকে কৌশলে বিদায় দিয়ে যখন মূল রাগে প্রবেশ করা হয় হয়, তখন মূল রাগের সুরশৈলী প্রয়োগের মধ্য দিয়েই ঘটে।