শর্করা, তৈল ও ডাল, উদ্দীপক জাতীয় খাদ্যশষ্য, ভেষজ ও
মশলা জাতীয় খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত- গাছের বিভিন্ন ভক্ষণযোগ্য অংশের সাধারণ নাম
সব্জি। এই অংশগুলো মানুষ পৃথকভাবে বা মাছ-মাংশের সাথে সাধারণ খাদ্যের উপাদান হিসাবে
ব্যবহার করে থাকে। এই বিচারে ভক্ষণযোগ্য গাছের যে কোন অংশই সব্জি। এই জাতীয় খাদ্যের
ভিতর রয়েছে ভক্ষণযোগ্য বীজ, মূল, কাণ্ড, পাতা, কন্দ ইত্যাদি।
অংশপ্রকৃতি অনুসারে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
- শাকককশব্জি: শুধু গাছের পাতা এবং তৎসংলগ্ন কচি শাখাকে সাধারণভাবে শাক বলা হয়।
যেমন- কচুপাতা,ডাঁটাশাক, পাটপাতা,
পালং, লালশাক, লেটুসপাতা, পুঁই ইত্যাদি। উদ্ভিদের
ভক্ষণযোগ্য অংশ বলে একে সব্জির অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
- ফলজ সব্জি: উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ফলের
অন্যতম পরিচয় হলো- প্রজনন অঙ্গ। ফলের প্রকৃতি ভেদে এর ভিতরে এক বা একাধিক বীজ
থাকে। কোনো বিশেষ ফলের পুরো অংশ বা এর বীজ যখন প্রস্তুতকৃত খাদ্যের উপকরণ বা
এককভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন-উচ্ছে, কাঁকরোল কুমড়া,চিচিঙ্গা
চালকুমড়া
চালতা,
টমেটো,
পটল,
পেঁপে,
বরবটি,বেগুন, লাউ, সজিনা, শসা, শিম ইত্যাদি। অনেক সময় কোনো কোনো
ফলের বীজকে তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেমন- কাঁঠালের বীজ।
- পুষ্পজ সব্জি: কিছু কিছু গাছের ফুলকে খাদ্যের
উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এগুলো পৃথক বা অন্য তরকারির অংশ হিসেবে ব্যবহার
করা হয়। যেমন- কলার মোচা, বকফুল ইত্যাদি।
- মূলজ সব্জি: কিছু কিছু গাছের মূল বা শিকড় ও শিকড়ে
উৎপন্ন কন্দকে সব্জি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এদেরকে কন্দ জাতীয় সব্জিও বলা হয়।
যেমন-
আলু,
কচু,
গাজর,
মুলা, বীট, মানকচু শালগম ইত্যাদি।
সবজি সাধারণত রান্না করে খাওয়া হয়। মূল খাদ্যের সাথে কাঁচা
অবস্থায় ফল-পাতা গ্রহণ করা হয়। এগুলোকে সাধারণত সালাত বলা হয়।