জেনন
Xenon
এটি এক প্রকারের নিষ্ক্রিয় গ্যাস। র্যামসে গ্রিক শব্দ থেকে জেনন নামটি গ্রহণ করেন যার সমার্থক শব্দ ছিল "বিদেশি", " অতিথি", "আগন্তুক" ও এই নামটিই আবিষ্কৃত মৌলের নাম রাখার জন্য প্রস্তাব দেন। এর প্রতীক
Xe
, পারমাণবিক সংখ্যা ৫৪, পারমাণবিক ভর
১৩১.২৯ । আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে জেনন গ্যাসের ঘনত্ব ৫.৭৬১ কিলোজুল/মোল, যা সমুদ্র
সমতলে পৃথিবীর ঘনত্বের (১.২১৭ কিলোজুল/মোল) প্রায় ৪.৫ গুণ। তরল জেননের পারমাণবিক
সংখ্যা উচ্চ হওয়ার কারণে এর যথেষ্ট পোলারায়ন ক্ষমতা আছে যার কারণে এটি একটি
শক্তিশালী দ্রাবক হিসেবে ক্রিয়া করে। এটি জৈব যৌগ বা হাইড্রোকার্বন, জৈব কণা এমনকি
পানিকেও দ্রবীভূত করতে পারে।
একইভাবে, আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে কঠিন জেননের ঘনত্ব ৩.৬৪০ গ্রাম/ঘন সে.মি, যা
গ্রানাইট-এর
ঘনত্ব (২.৭৫ গ্রাম/ঘন সে.মি) অপেক্ষা তুলনামূলকভাবে বেশি।
চাপ প্রয়োগ যখন গিগাপ্যাসকেল এককে পৌঁছে তখন জেনন ধাতব দশায় উত্তীর্ণ হয়।
১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনে স্কটিশ পদার্থবিদ স্যার
উইলিয়াম র্যামজি (১৮৫২-১৯১৬) ও মরিস ডব্লিউ. ট্র্যাভার্স (১৮৭২-১৯৬১) ক্রিপ্টন
আবিষ্কার করেন। পরীক্ষাগারে র্যামজি বাতাসের একটি
উপাদানকে ঠাণ্ডা করে তরলে পরিণত করেন। এই তরলকে গরম করে গ্যাসগুলোকে আবদ্ধ করেন। ১৮৯৮
খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের শেষভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ ধরে গ্যাসগুলো থেকে
নাইট্রোজেন,
অক্সিজেন ও
আর্গন
আলাদা করেন। ১১ জুলাই তরল বায়ুকে বিশ্লেষণ করে ৫৬তম নমুনা হিসেবে
ক্রিপ্টন
এবং ৫৭তম নমুনা হিসেবে
নিয়ন আবিষ্কার করেন।
এরপর তরল বায়ুকে উত্তপ্ত করে
কার্বন-ডাই-অক্সাইড
পান। এই সময় তিনি বর্ণালী বিশ্লেষণে কিছু অস্বাভাবিক নিদর্শন দেখতে পান। এরপর ১২ই
জুলাই তিনি জেনন-এর সন্ধান পান।