বিষয়: নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম: কোন মরমীর মরম-ব্যথা আমার বুকে বেদনা হানে
রাগ: দেশ-সুরট। তাল: ত্রিতাল
কোন মরমীর মরম-ব্যথা আমার বুকে
বেদনা হানে
জানি গো, সেও জানেই জানে।
আমি কাঁদি তাইতে যে তার ডাগর চোখে অশ্রু আনে,
বুঝেছি তা প্রাণের টানে॥
বাইরে বাঁধি মনকে যত
ততই বাড়ে মর্ম-ক্ষেত,
মোর সে ক্ষত ব্যথার মতো
বাজে গিয়ে তারও প্রাণে,
কে ক'য়ে যায় হিয়ার কানে॥
উদাস বায়ু ধানের ক্ষেতে ঘনায় যখন সাঁঝের মায়া,
দুই জনারই নয়ন-পাতায় অমনি নামে কাজল-ছায়া॥
দুইটি হিয়াই কেমন কেমন
—
বদ্ধ ভ্রমর পদ্মে যেমন,
হায়, অসহায় মূকের বেদন
বাজলো শুধু
সাঁঝের গানে
পুবের বায়ুর হুতাশ তানে॥
-
রচনাকাল: ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে
নবযুগ পত্রিকার অফিস ছুটি হয়ে যায়।
এই ছুটি কাটানোর জন্য অক্টোবরের ১-২ তারিখে
(রবি-সোম, ১৫-১৬ আশ্বিন) নজরুল এবং
মুজাফ্ফর আহমদ
বরিশালে শের-এ-বাংলা
আবুল কাশেম ফজলুল হকের ভাগ্নে ওয়াজির জালী ও ইউসুফ আলীর বাড়িতে
এই সময় এই কবিতটি রচনা
করেছিলেন। কবিতাটিতে সুরারোপিত করে গানে পরিণত করা হয়েছিল। ছায়ানট' কাব্যগ্রন্থে গানটির রচনার
তারিখ উল্লেখ আছে 'বরিশাল আশ্বিন ১৩২৭' (অক্টোবর-নভেম্বর
১৯২০)। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ২১ বৎসর ৪
মাস।
-
পত্রিকা:
-
মোসলেম ভারত
পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২৭' (ফেব্রুয়ারি-মার্চ ১৯২১) সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল।
-
কল্লোল
পত্রিকা [অগ্রহায়ণ ১৩৩০ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯২৩)। মোহিনী সেনগুপ্তা-কৃত
স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
[নমুনা]
- গ্রন্থ:
- ছায়ানট
- প্রথম সংস্করণ [বর্মণ পাবলিশিং হাউস, ২২
সেপ্টেম্বর ১৯২৫ আশ্বিন ১৩৩২] শিরোনাম:
মরমী।
পৃষ্ঠা: ৫৯।
- নজরুল রচনাবলী জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, দ্বিতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, মে ২০১১।
ছায়ানট। শিরোনাম:
মরমী।
পৃষ্ঠা ৩৫]
-
নজরুল গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
টপ্পা। ৩।
দেশ-সুরাট-তেতালা। পৃষ্ঠা ৮৬]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড
[বাংলা একাডেমী, ঢাকা ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] ৭৪।
নজরুল গীতিকা। টপ্পা।
দেশ-সুরাট-তেতালা।পৃষ্ঠা: ২২০-২২১]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: মোহিনী সেনগুপ্তা।
কল্লোল
পত্রিকা [অগ্রহায়ণ ১৩৩০ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯২৩)
[নমুনা]
- সুরকার:
মোহিনী সেনগুপ্তা
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রেম
- সুরাঙ্গ:
খেয়ালাঙ্গ।
'নজরুল গীতিকা' গ্রন্থে গানটিকে 'টপ্পা' শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।
- রাগ:
বাহার। [মোহিনী সেনগুপ্তের স্বরলিপিতে
উল্লেখ আছে 'বাহার'। নজরুল গীতিকায় সুর-নির্দেশ রয়েছে দেশ-সুরট'। নজরুল
এই গানের সুর পরিবর্তন করেছিলেন।]
- তাল: ঢিমে
ত্রিতাল
- গ্রহস্বর: সা