৩৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩০৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৯৭- ৬ মে ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ)


১৩০৪ বঙ্গাব্দের  ১৩ জ্যৈষ্ঠ [২৬ মে, ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে রবীন্দ্র স্পর্ধা একটি কবিতা রচনা করেন। এই কবিতাটি বর্তমানে রবীন্দ্রনাথের কল্পনা নামক কাব্যে পাওয়া যায়। এই কবিতাটিতে কবে সুরারোপ করেছিলেন। গানটির কোনো স্বরলিপি প্রকাশিত হয় নাই। এই গানটি হলো
        সে আসি কহিল, "প্রিয়ে, মুখ তুলে চাও।" বীণাবাদিনী পত্রিকার ১৩০৪ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের প্রথম ভাগ প্রথম সংখ্যায় একটি গান প্রকাশিত হয়। এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় নাই। এই গানটি হলো-
        মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি

১৩০৪ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে কলকাতায় ছিলেন।  RBVBMS 426 (i) পাণ্ডুলিপিতে, ২৮ ভাদ্র [রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখের তিনি লিখেছিলেন 'বৃথা গেয়েছি বহু গান'। পাণ্ডুলিপিতে এর আগে পাওয়া যায় আরও কয়েকটি গান পাওয়া যায়। এই সূত্রে ধারণা করা হয়, এই গানগুলো হয়তো ২৮ ভাদ্রের কিছু আগে লেখা। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪-৫ মাস। 

১৩০৪ বঙ্গাব্দের ২৮ ভাদ্র [রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখের কিছু পূর্বে রচনা করেছিলেন ৬টি গান। এই গানগুলো হলো-
ভক্তহৃদিবিকাশ প্রাণবিমোহন
পান্থ এখনো কেন অলসিত অঙ্গ [পূজা-২৭৯] [তথ্য]
আনন্দ ঊষাকালে মঙ্গল রবি
বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা [পূজা-৩২৪] [তথ্য]
কেন ধরে রাখা, ও যে যাবে চলে
বৃথা গেয়েছি বহু গান [২৮ ভাদ্র [রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]
১৩০৪ বঙ্গাব্দের গানের বহি -তে একটি গান আছে। কিন্তু এর রচনাকালের উল্লেখ নাই। ধারণা করা হয় ২৮ ভাদ্র থেকে ৬ আশ্বিনের ভিতরে গানটি রচিত হয়েছিল। কল্পনা কাব্যে লীলা শিরোনামে গৃহীত হয়েছে। কল্পনা কাব্যে এই কবিতাটির নিচে তারিখ দেওয়া আছে ভাদ্র-আশ্বিন। এই গানটি হলো
        কেন বাজাও কাঁকন কনকন কত ছল ভরে

১৩০৪ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে যান। তারপর পাবনার ইছামতী, যমুনা বরাল, বলেশ্বরী নদী ধরে সাজাদপুরের উদ্দেশ্যে পৌঁছান ৮ তারিখে। ৯ আশ্বিন সাজাদপুর থেকে পতিসরের দিকে যাত্রা করেন এবং পতিসরে ১০ আশ্বিনে পৌঁছান। ১৩ আশ্বিন রেলপথে কলকাতায় ফিরে আসেন। এই সময়ে তিনি মোট ১৩টি কবিতা বা গান রচনা করেন, এই কবিতাগুলো কল্পনা কাব্যে এই গৃহীত হয়েছে। এই কবিতাগুলোতে সম্ভবত তিনি আগেই সুরারোপ করেছিলেন। কারণ কবিতা হিসাবে কল্পনায় পাঠের সাথে রাগের নাম পাওয়া যায়। নিচে এই গানগুলোর তালিকা দেওয়া হলো
        ৬ আশ্বিন [মঙ্গলবার ২১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ] ইছামতী।  হেরিয়া শ্যামলঘন নীল গগনে
        ৭ আশ্বিন [বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  ইছামতী। এবার চলিনু তবে
        ৭ আশ্বিন [বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  যমুনা। কেন যামিনী না যেতে জাগালে না কেন
        ৭ আশ্বিন [বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  বড়াল, পরিবর্ধন নাগর নদী। কিসের তরে অশ্রু
        ৮ আশ্বিন [বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  সাহাজাদপুর। ভালোবেসে সখী, নিভৃত যতনে
        ৯ আশ্বিন [শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  চলনবিল। তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা
        ৯ আশ্বিন [শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  চলনবিল। যদি বারণ কর তবে গাহিব না।
        ১০ আশ্বিন [শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  নাগর নদী। আমি চাহিতে এসেছি শুধু একখানি মালা [প্রেম-৫৩] [তথ্য]
        ১০ আশ্বিন [শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  নাগর নদী। সখী প্রতিদিন হায়
        ১০ আশ্বিন [শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  নাগর নদী। বিধি ডাগর আঁখী
        ১০ আশ্বিন [শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  নাগর নদী। বঁধু মিছে রাগ করো না।
        ১২ আশ্বিন [সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  পতিসর। ওগো কাঙাল আমারে কাঙাল করেছ।
        ১৩ আশ্বিন [মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ]  রেলগাড়িতে। একি সত্য সকলই সত্য। ১৩০৪ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [রবিবার, ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ] আদি ব্রাহ্মসমাজের অষ্টষষ্টিতম সাংবৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই উৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ৪টি নতুন গান রচনা করেন। এই গান চারটি হলো—
১. নিত্য সত্যে চিন্তন করো [পরিশিষ্ট-৩, ৩] [তথ্য]
২. কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে ভুবনে শ্বর প্রভু [পূজা-৪৪৬] [তথ্য]
৩. উঠি চলো, সুদিন আইল [পূজা ও প্রার্থনা-৫৮] [তথ্য]
৪. লহো লহো তুলি লও হে ভূমিতল হতে [পূজা-৪১২] [তথ্য]
১৩০৪ বঙ্গাব্দ হিসাবে রচনাকাল উল্লেখ আছে এমন আরও তিনটি গান পাওয়া যায়। এই গান তিনটি হলো
            কে আসে যায় ফিরে ফিরে
            দুইটি হৃদয়ে একটি আসন পাতিয়া বসো
            আইল সন্ধ্যা, গেল