বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
পান্থ,
এখনো কেন অলসিত অঙ্গ
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
২৭৯
পান্থ,
এখনো কেন অলসিত অঙ্গ –
হেরো,
পুস্পবনে জাগে বিহঙ্গ
॥
গগন মগন নন্দন
আলোক উল্লাসে,
লোকে লোকে উঠে
প্রাণতরঙ্গ
॥
রুদ্ধ হৃদয়কক্ষে
তিমিরে
কেন
আত্মসুখদুঃখে শয়ন-
জাগো জাগো,
চলো মঙ্গলপথে
যাত্রীদলে মিলি
লহো বিশ্বের সঙ্গ
॥
RBVBMS 426 (i)
[নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৪
বঙ্গাব্দের শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে কলকাতায় ছিলেন।
RBVBMS 426 (i)
পাণ্ডুলিপিতে, ২৮
ভাদ্র [রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখের তিনি লিখেছিলেন
'বৃথা গেয়েছি বহু গান'। পাণ্ডুলিপিতে এর আগে পাওয়া যায় আরও কয়েকটি গান
পাওয়া যায়। এই সূত্রে ধারণা করা হয়, এই গানগুলো হয়তো ২৮ ভাদ্রের কিছু আগে
লেখা। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪-৫ মাস।
[৩৬
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড [মজুমদার
লাইব্রেরি, ১৩১০ বঙ্গাব্দ।
ললিত- তাল সুরফাঁক্তা।
পৃষ্ঠা:
৩১০][নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দশম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬
খ্রিষ্টাব্দ,
ধর্ম্মসঙ্গীত।
পৃষ্ঠা: ২২২]
[নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী ললিত- তাল সুরফাঁক্তা। পৃষ্ঠা: ৩৫০]
[নমুনা]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান
প্রেস। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
ললিত- তাল সুরফাঁক্তা। পৃষ্ঠা: ২৬১। [নমুনা]
-
গীতবিতান
-
গীতিচর্চ্চা
[বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২, গান সংখ্যা ২৪,
পৃষ্ঠা ১৬]
[নমুনা]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
পৃষ্ঠা: ১১১]
[নমুনা]
-
বৈতালিক
[চৈত্র
১৩২৫
বঙ্গাব্দ।
দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
ললিত-সুরফাক্তা।কাঙ্গালীচরণ
সেন-
স্বরবিতান সপ্তবিংশ
(২৭) খণ্ডের নবম গান। পৃষ্ঠা: ২৯।
[নমুনা]
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮২৪ শকাব্দ,
১৩০৯
বঙ্গাব্দ)।
বাহার-সুরফাঁকতাল।
পৃষ্ঠা: ১৭৪।
[নমুনা]
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩০৯ বঙ্গাব্দের
১১ই মাঘ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রি ষ্টাব্দ]
৭৩তম
মাঘোৎসবের সকালের অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এই সূত্রে গানটি
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩০৯
বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল সে গুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড(ণ্ড(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ),গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ,
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
বৈতালিক
(১৩২৫
বঙ্গাব্দ)
ও
গীতিচর্চ্চা (১৩৩২
বঙ্গাব্দ)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'মোহিত সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের
'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল
।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
জাগরণ উপবিভাগের ১৬ সংখ্যক গান
হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৭৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ . সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙ্গাগান: এটি একটি
ভাঙা গান।
মূল গানটি তানসেনের রচিত।
মূল গান :
ললিত। সুরফাঁক্তা।
RBVBMS 426 (i)
পাণ্ডুলিপিতে গানটির নমুনা পাওয়া যায়।
[নমুনা]
রঙ্গ জুগত
সোঁ গাবে বজাবে
তাল মান সুর
সঙ্গত আবে।
দ্বিগুণ
ত্রিগুণ চৌগুণ
সো
ভেদ বতা বে,
জ ব লাগডাট
প্রমাণ
দেখাবে।
অপনা মুখ
তেঁ
গুণী কহাবে
তাল মান
কে
বেবর পাবে।
তানসেন কহে
হোয়ে গুণীয়ন
ছত্রপতি
অকবর
কো রিঝাবে
॥
[সঙ্গীতচন্দ্রিকা।
গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪১৫। পৃষ্ঠা : ১১৭ ]
স্বরলিপিকার:
কালীচরণ সেন [ ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ১ম ভাগ
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বৈতালিক (চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ) থেকে
স্বরবিতান ২৭-এ গৃহীত হয়েছে]
সুর ও তাল:
-
রাগ-যোগিয়া।
তাল-সুরফাঁকতাল।
স্বরবিতান-২৭
-
রাগ-ললিত।
তত্ত্ববোধিনী
-
রাগ:
যোগিয়া ললিত।
তাল: সুরফাঁকতাল। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৪]
-
রাগ: যোগিয়া।
তাল: সুরফাঁকতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১১ ]
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।