স্বরবিতান-২৭
এই গ্রন্থের বৈশাখ ১৪১৫ মুদ্রণের ৭৫ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত প্রজ্ঞাপনটি নিচে উল্লেখ করা হলো।
স্বরবিতান সপ্তবিংশ খণ্ড প্রকাশিত হয় চৈত্র ১৩৫৯ সালে। এই খণ্ডের সম্পাদনা করেন ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
এই গ্রন্থে ২৫টি গানের স্বরলিপি সংকলিত; তন্মধ্যে কাঙ্গালীচরণ সেন–কৃত ১৯টি ‘ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি’গ্রন্থে মুদ্রিত ছিল; তাহা ছাড়া ৫টি গানের দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি ‘বৈতালিক’ গ্রন্থের অন্তর্গত ছিল এবং অবশিষ্ট ‘আমি সংসারে মন দিয়েছিনু’ গানটির কোনো স্বরলিপি ছিল না। গানটির স্বরলিপি প্রণয়নে কবিকণ্ঠের গ্রামোফোন-রেকর্ড অনুসরণ করা হইয়াছে।
‘অন্ধজনে দেহো আলো’ গানটিরও রবীন্দ্রনাথের গাওয়া রেকর্ড্ থাকাতে, স্বরলিপি-প্রণয়নে তাহাই আদর্শরুপে গৃহীত ও সেই স্বরলিপি গ্রন্থের প্রথমে সন্নিবিষ্ট হইয়াছে; ‘ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি’র প্রথম ভাগে মুদ্রিত উহার তালবদ্ধ স্বরলিপিটি সেই সঙ্গে সংকলিত।
গ্রামোফোন রেকর্ডে কবি-কর্তৃক গীত ‘আমি সংসারে মন দিয়েছিনু’ ও ‘অন্ধজনে দেহো আলো’ গানের স্বরলিপি শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস-কৃত ও শ্রীশৈলজারঞ্জন মজুমদার-কর্তৃক পরিমার্জিত। কয়েকটি গানের রাগ-তাল-নির্দেশে রমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় সহযোগিতা করিয়াছেন।
কাঙ্গালীচরণ সেন–প্রণিত ‘ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি’র ছয় ভাগে রবীন্দ্রনাথের ১৯৭টি১ গানের স্বরলিপি মুদ্রিত। ইহার মধ্যে ৫০টি স্বরবিতানের চতুর্থ খণ্ডে, ২৫টি করিয়া দ্বাবিংশ ত্রয়োবিংশ চতুর্বিংশ পঞ্চবিংশ ও ষড়্বিংশ খণ্ডের প্রত্যেকটিতে এবং ১৯টি সপ্তবিংশ খণ্ডে সংকলিত।২
এই
গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত গানের সুরভেদ, ছন্দোভেদ, পাঠভেদ ও প্রকাশকাল সম্পর্কে এ যাবৎ
সংগৃহীত তথ্য বর্তমান সংস্করণে (অগ্রহায়ণ ১৩৮০) সন্নিবিষ্ট হইল। উল্লিখিত তথ্যাদি
সংগ্রহ ও সংকলন করিয়াছেন শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস।
মাঘ ১৩৮৪
১. 'মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’
গানের আখরযুক্ত ও আখরহীন দুইটি রূপ থাকায়, স্বরলিপি-সংখ্যা মোট ১৯৮।
উক্ত গানের উভয় রূপই স্বরবিতানে সংকলিত হইয়াছে।
২.‘আজ বুকের বসন ছিঁড়ে ফেলে’, ‘একবার তোরা মা বলিয়া ডাক্ ও ‘ আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে- অবশিষ্ট এই তিনটি গানের প্রথমটি‘শেফালি’-ভুক্ত আছে (‘শেফালি’ গ্রন্থ স্বরবিতানের পঞ্চাশত্তম খণ্ড-রূপে প্রকাশিত) এবং অন্য দুইটি গান দেশভক্তিসূচক অন্যান্য গানের সহিত স্বরবিতানের সপ্তচত্বারিংশ খণ্ডে গৃহীত হইয়াছে। |