নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে ॥
বাসনার বশে মন অবিরত ধায় দশ দিশে পাগলের মতো,
স্থির-আঁখি তুমি মরমে সতত জাগিছ শয়নে স্বপনে ॥
সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ, তুমি আছ তার আছে তব স্নেহ॥
নিরাশ্রয় জন, পথ যার গেহ, সেও আছে তব ভবনে।
তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর, সমুখে অনন্ত জীবনবিস্তার—
কালপারাবার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে ॥
জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি যত পাই তোমায় আরো তত যাচি, যত জানি তত জানি নে।
জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোকলোকান্তরে যুগাযুগান্তর—
তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নেই ভুবনে॥
তুমি ছাড়া
কেহ সাথি নাই আর :স্বরলিপি,
ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ১ মাঘ
(১৩১১) ও বৈতালিক (চৈত্র ১৩২৫)
তুমি ছাড়া
কেহ সাথী নাহি আর :গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)