বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
চিরবন্ধু চিরনির্ভর চিরশান্তি
চিরবন্ধু চিরনির্ভর চিরশান্তি
তুমি হে প্রভু-
তুমি চিরমঙ্গল
সখা হে
তোমার জগতে,
চিরসঙ্গী চিরজীবনে
॥
চিরপ্রীতিসুধানির্ঝর তুমি হে হৃদয়েশ-
তব
জয়সঙ্গীত ধ্বনিছে
তোমার
জগতে
চিরদিবা চিররজনী॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক.
রচনাকাল ও স্থান:
১২৯৯
বঙ্গাব্দের মাঘোৎসব উপলক্ষে উৎসবের কিছু পূর্বে রবীন্দ্রনাথ ছয়টি নূতন গান
রচনা করেছিলেন। এই গানটি তার মধ্যে একটি। সে হিসাবে অনুমান করা যায় যে,
এই গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৩১ বৎসর ৯ মাস বয়সের রচনা।
-
প্রকাশ ও
গ্রন্থভুক্তি
-
গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১২৯৯)। মহিশূরী খাম্বাজ-ঠুংরী। পৃষ্ঠা: ২১৫
[নমুনা]
-
ভারতী ও
বালক (ফাল্গুন ১২৯৯)। রাগ-তাল: মহীশূরী খাম্বাজ-ঠুংরি। সরলাদেবী-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত। [বাণী পৃষ্ঠা ৬৫৭, স্বরলিপি পৃষ্ঠা: ৬৫৮-৬৫৯
স্বরলিপি]
[নমুনা]
-
পরিবেশনা:
১২৯৯ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসব উপলক্ষে,
কলকাতার আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে গানটি গীত হয়েছিল।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙা গান:
এটি একটি ভাঙা গান।
মূল গানটি
তিনি পেয়েছিলেন সরলাদেবী'র (রবীন্দ্রনাথের বোন স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা) কাছ থেকে।
সরলাদেবী তাঁর জীবনের ঝরাপাতা (দ্বিতীয় দে'জ সংস্করণ এপ্রিল ২০০৯, বৈশাখ
১৪১৬) গ্রন্থে এ বিষয়ে লিখেছেন- 'মহীশূরে যখন গেলুম সেখান থেকে এক অভিনব ফুলের সাজি
ভরে আনলুম। রবিমমার পায়ের তলায় সে গানের সাজিখানি খালি না করা পর্যন্ত, মনে বিরাম
নেই। সাজি থেকে এক একখানি সুর তুলে নিলেন তিনি, সেগুলিকে মুগ্ধচিত্তে নিজের কথা
দিয়ে নিজের করে নিলেন—তবে আমার পূর্ণ চরিতার্থ হল। "আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে", "এস সে
গৃহদেবতা", "এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ", চিরবন্ধু চিরনির্ভর" প্রভৃতি আমার আনা সুরে
বসান গান।'
-
স্বরলিপিকার:
স্বরবিতান-২৭-এর ৭৭ পৃষ্ঠায় দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি সুরভেদ
হিসাবে গৃহীত হয়েছে। মূল স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।
-
সুর ও তাল:
-
রাগ-খাম্বাজ। তাল-ষষ্ঠী।
-
অঙ্গ:
মহীশূরীভজন।
তাল: ষষ্ঠী। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।]
পৃষ্ঠা: ৫০।
-
রাগ: মহীশূরী।
তাল: ষষ্ঠী। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৯০।
-
ভারতী ও বালক ( ফাল্গুন ১২৯৯)।
পত্রিকার
(ফাল্গুন
১২৯৯) সংখ্যায় প্রকশিত স্বরলিপির শেষে উল্লেখ আছে-
'ফাল্গুন মাসের তত্ত্ববোধিনীতে এই সুরটীকে ভুলক্রমে মহীসুরী ভজন নামে অভিহীত করা
হইয়াছে। ইহা ভজনের সুর আদৌ নহে, এবং মহীসূরীও নহে। ইহাকে মাদ্রাজী সিন্ধু বলিবার
সার্থকতা এই পর্যন্ত যে ইহা জনৈক মাদ্রাজী গায়কের নিকট হইতে শিক্ষিত হইয়াছিল।
তত্ত্ববোধিনীতে ইহাকে একতালা করা হইয়াছে, তাহ নিতান্ত ভুল হইয়াছে, তাহাতে যে সুর
যতক্ষণ স্থায়ী হওয়া উচিত তাহার অপেক্ষা কম ক্ষণ স্থায়ী হইয়া সুরের চেহারা বদ্লিয়া
গিয়াছে।'
-
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
গ্রহস্বর: পা।
-
লয়: মধ্য।