বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: স্বামী, তুমি এসো আজ অন্ধকার হৃদয়মাঝ-
পাঠ ও পাঠভেদ:
স্বামী, তুমি এসো আজ অন্ধকার হৃদয়মাঝ-
স্বামী, তুমি এসো আজ অন্ধকার হৃদয়মাঝ-
পাপে ম্লান পাই লাজ, ডাকি হে তোমারে ॥
ক্রন্দন উঠিছে প্রাণে, মন শান্ত নাহি মানে,
পথ তবু নাহি জানে আপন আঁধারে ॥
ধিক ধিক জনম মম, বিফল বিষয়শ্রম-
বিফল ক্ষণিক প্রেম টুটিয়া যায় বারবার।
সন্তাপে হৃদয় দহে, নয়নে অশ্রুবারি বহে,
বাড়িছে বিষয়পিপাসা বিষম বিষবিকারে ॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
- পাঠভেদ:
পাঠভেদ
স্বরবিতান-২৭-এর ৮৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠানুসারে নিচের পাঠভেদ দেখানো হলো
অন্ধকার
হৃদয়-মাঝ
: গান (১৯০৮)
অন্ধকার হৃদয়
মাঝে
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
অন্ধকার হৃদয়মাঝ-
: স্বরবিতান (বৈশাখ ১৪১৫)
-
তথ্যানুসন্ধান
- ক.
রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১১ মাঘ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ তারিখে
সপ্তপঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটিসহ ২৬টি
নতুন গান পরিবেশিত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই
গানগুলো রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের ২৫
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৮০৮ শকাব্দ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ)।
বেহাগ-চৌতাল। পৃষ্ঠা: ২২০।
[নমুনা]
-
প্রকাশের কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ তারিখে
সপ্তপঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে
আয়োজিত
অনুষ্ঠানের সায়ংকালীন উপাসনায় গানটি পরিবেশিত হয়েছিল
- গ. সঙ্গীতবিষয়ক
তথ্যাবলি:
- ভাঙা গান:
এটি একটি ধ্রুপদভাঙা
গান।
মূল গান-
বেহাগ।চৌতাল (বিলম্বিত)
সাঁই তো না আওয়ে আজ,
আঁধি
রাত মাঝে-মাঝ
সিংহিনী জাগাবে সিংহ কানন ফুকারে
॥
চন্দন ঘসত ঘস ঘস গই নখ
মেরা,
বাসনা ন পূরত মাস কি নিহারে
॥
ধিক ধিক জনম
মেরি, জগমে জীবন মেরা,
কি সুখ লাগাবে নাথ পাকড়ি
বেণু বারে বার ।
--- দিনপতি, নয়নমে
আহু বারি বহে
তানসেন অন্তর্ব্বাণী ধুবপদ ফুকারে
॥
-তানসেন
গীতসূত্রসার ২
দ্র:
রবীন্দ্রসংগীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা, ৩য় খণ্ড/শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস। পৃষ্ঠা ২৭।
দ্র:
রবীন্দ্রসংগীতের ত্রিবেণীসংগম/ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী। গান সংখ্যা-২০০।
-
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ
সেন।
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান সপ্তবিংশ খণ্ডে (বিশ্বভারতী,
বৈশাখ ১৪১৫)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের নাম উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে
বেহাগ
ও চৌতাল। [তত্ত্ববোধিনী]
-
রাগ :
বেহাগ।
তাল : চৌতাল। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৮৩।
-
রাগ: বেহাগ।
তাল: চৌতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত
আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা: ১৪৩।
-
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ।
-
গ্রহস্বর: পা।
-
লয়: মধ্য।