বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার বন্ধ রহে গো কভু
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
১০২
যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার বন্ধ রহে গো কভু
দ্বার ভেঙে তুমি এসো মোর প্রাণে,ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু ॥
যদি কোনো দিন এ বীণার তারে তব প্রিয়নাম নাহি ঝঙ্কারে
দয়া ক'রে তবু রহিয়ো দাঁড়ায়ে, ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু ॥
যদি কোনো দিন তোমার আহ্বানে সুপ্তি আমার চেতনা না মানে
বজ্রবেদনে জাগায়ো আমারে, ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু।
যদি কোনো দিন তোমার আসনে আর-কাহারেও বসাই যতনে,
চিরদিবসের হে রাজা আমার, ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায় নি।
-
পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও
স্থান:
১৩০৮
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে, 'আদি
ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র'
থেকে
রবীন্দ্রনাথের নৈবেদ্য প্রকাশিত হয়েছিল। এই গ্রন্থের ৫ম গান হিসাবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের ৪০ বৎসর ২ মাস বয়সে।
[রবীন্দ্রনাথের
৪০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থ
-
ষষ্ঠ খণ্ড [মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০
বঙ্গাব্দ।
নৈবেদ্য ৫।
পৃষ্ঠা: ৭০]
[নমুনা]
-
সপ্তম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ,
নৈবেদ্য ৫, পৃষ্ঠা ১১]
[নমুনা]
-
অষ্টম খণ্ড
(ইন্ডিয়ান
পাবলিশিং হাউস ১৩১০ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে),
গান, রাগিণী সিন্ধু ভৈরবী-
তাল ঝাঁপতাল,
পৃষ্ঠা:
৩১৬।
[নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ।
১৩১৫ বঙ্গাব্দ, ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ। রাগিণী সিন্ধু
ভৈরবী- তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ৩৫৫-৩৫৬।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান
প্রেস। ১৩১৬ বঙ্গাব্দ, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী সিন্ধু ভৈরবী- তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ৩৩৯] [নমুনা]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮।
নৈবেদ্য (১৩০৮ বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল।
পৃষ্ঠা: ২০০]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ: প্রার্থনা
১১,
পৃষ্ঠা: ৪৪।
[নমুনা]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১০২, উপ-বিভাগ :
প্রার্থনা-১১,
পৃষ্ঠা: ৪৭।
-
গীতিচর্চ্চা (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩২), গান সংখ্যা ২৯,
পৃষ্ঠা: ১৮-১৯।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ), গান,
পৃষ্ঠা: ৭৮-৭৯।
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
নৈবেদ্য
-
প্রথম সংস্করণ আদি
ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র (আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র,
১৩০৮ বঙ্গাব্দ) গান সংখ্যা ৫,
পৃষ্ঠা: ৯-১০। [নমুনা
প্রথমাংশ]
[শেষাংশ]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী
অষ্টম খণ্ড (বিশ্বভারতী, ফাল্গুন ১৩৯২)।
৫ম গান।
পৃষ্ঠা:
১০-১১।
-
বাঙালির গান (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, এপ্রিল ২০০১), গান
সংখ্যা ২৫৪, সিন্ধুভৈরবী-ঝাঁপতাল, পৃষ্ঠা ৬৭১।
-
বৈতালিক(চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ)।
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
সিন্ধুভৈরবী-ঝাঁপতাল।
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান
সপ্তবিংশ (২৭)
খণ্ডের (বিশ্বভারতী,
বৈশাখ ১৪১৫),
১৬ সংখ্যক গান ,
পৃষ্ঠা:
৪৭-৫০।
সিন্ধুকাফি-ঝাঁপতাল।
[নমুনা]
- পত্রিকা:
- রেকর্ডসূত্র: সিদ্ধার্থ
ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর
১৯৮৯) গ্রন্থ থেকে আলোচ্য গানের চারটি রেকর্ডসূত্রের তথ্য পাওয়া যায়।
- ১৯১৬-১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এই গানটির
প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল 'গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে।
তবে প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় নি।
এই রেকর্ডে
এম. এন. ঘোষ (মন্তা) কণ্ঠে এই গানটি-সহ মোট দুটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। অপর
গানটি ছিল- 'দয়াময় দয়া করিয়া'। উল্লেখ্য, এই গানটির গীতিকার বা সুরকার সম্পর্কে
জানা যায় নি। রেকর্ড নম্বর ছিল-
P 5107
[পৃষ্ঠা: ৪৪]
- ভিয়েলোফোন রেকর্ড-এই গানটির
রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় নি। গানটির
শিল্পী ছিলেন- গোপালচন্দ্র সেনগুপ্ত। রেকর্ড নম্বর:
T-6052
।[পৃষ্ঠা: ৪৭]। উল্লেখ্য এই রেকর্ডে গোপালচন্দ্র সেনগুপ্তের
আরও একটি গান ছিল। গানটি হলো-
-
তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায় তারি
পারে [পূজা-৩] [তথ্য]
অজ্ঞাত একটি রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির রেকর্ড প্রকাশিত
হয়েছিল। এই রেকর্ডের প্রকাশকাল এবং রেকর্ড নম্বর পাওয়া যায় নি। এই
রেকর্ডে গানটি গেয়েছিলেন 'অমলা দাশ'। এই রেকর্ডে অমলা দাশের আরও
একটি গান গেয়েছিলন। গানটি হলো-
হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল আজি মম
পূর্ণ হল [পূজা-৩৩১]
[তথ্য]
[পৃষ্ঠা:
৬৩]
রেকর্ডসূত্র:
এরপর এর দ্বিতীয় রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল 'ভিয়েলোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে।
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩০৮
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে, 'আদি
ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র'
থেকে রবীন্দ্রনাথের
নৈবেদ্যের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল। এর পরের বছর ১১ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৩তম মাঘোৎসবের
সকালের অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
এরপর কালানুক্রমে যে সকল গ্রন্থাদিতে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত
হয়েছিল, সেগুলো হলো-তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১৩০৯),
কাব্যগ্রন্থ
ষষ্ঠ খণ্ড ( ১৩১০
বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
( ১৩১০ বঙ্গাব্দ) ,
বাঙালির গান
(১৩১১ বঙ্গাব্দ), ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ),গান
প্রথম
সংস্করণ (১৩১৫ বঙ্গাব্দ),
গান দ্বিতীয়
সংস্করণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১বঙ্গাব্দে),
কাব্যগ্রন্থ
সপ্তম খণ্ড
( ১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
বৈতালিক
(১৩২৫ বঙ্গাব্দ) ১৩৩২
গীতিচর্চ্চা
(বঙ্গাব্দ)।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে
প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই
সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের উপবিভাগ: প্রার্থনা
হিসেবে। ১৩৭১
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১০২ সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
-
ভাঙা গান:
এটি
একটি ভাঙা গান।
মূল গান-
'বিন
নহী দেখেঁ '
।
কাফি-ঝাঁপতাল।
-
স্বরলিপি:
[নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপিটি
স্বরবিতান
সপ্তবিংশ-এর
৮১ পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
স্বরবিতান
সপ্তবিংশ-এ গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
- সুর
ও তাল:
-
স্বরবিতান
সপ্তবিংশ (২৭)রাগ-সিন্ধু-কাফি ।
তাল-(ঝাঁপতাল
-
রাগ-সিন্ধু ভৈরবী।
তাল-।
[ ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি
প্রথম
ভাগ]
- রাগ :
কাফি
। তাল:ঝাঁপতাল
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬, পৃষ্ঠা ৭৪]।
[কাফি
সুরে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিক]
[ঝাঁপতাল
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- রাগ :সিন্ধু,
কাফি। তাল:
ঝাঁপতাল
।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১২৯।
- ১৯১৬-১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এই গানটির প্রথম
রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল 'গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি' থেকে। এম. এন. ঘোষ
(মন্তা) -এর
কণ্ঠে
ধৃত এই গানের লেবেল রাগের উল্লেখ ছিল 'ছায়ানট'।
- বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত
- সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ
-
গ্রহস্বর:
ধা।
- লয়:
মধ্য।