বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

২৫ বৈশাখ ১৩০৮ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯০১- ৬ মে ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ)


১৩০৮ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের ৯ তারিখে প্রকাশিত হয় নৈবেদ্য নামক গান ও কবিতার সংকলন। এই গ্রন্থের গানগুলোর রচনার তারিখ নেই। অনুমান করা হয়, গত বৎসরে শেষার্‌ধে এই গ্রন্থের রচনা শুরু করেছিলেন। প্রকাশকালের বিচারে নিচের গানগুলোর তালিকা তুলে ধরা হলো।
আমার এ ঘরে আপনার করে
নিশীথশয়নে ভেবে রাখি মনে, ওগো অন্তরযামী [পূজা-১৭৮] [তথ্য]
যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার [পূজা-১০২] [তথ্য]
সংসার যবে মন কেড়ে লয়
জীবনে আমার যত আনন্দ
যারা কাছে আছে তারা কাছে থাক্
অমল কমল সহজে জলের কোলে [পূজা-৩২৫]  [তথ্য]  
সকল গর্ব দূর করি দিব
তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে
ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে জীবনসমর্পণ [পূজা-৩০১] [তথ্য]
অল্প লইয়া থাকি
তোমার পতাকা যারে দাও
ঘাটে বসে আছি আনমনা
সংসারে তুমি রাখিলে
হে সখা মম হৃদয়ে রহো

১৩০৮ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে ত্রিপুরায় অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। গানটি হলো-

এই গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। সত্যরঞ্জন বসু তাঁর 'ত্রিপুরায় রবীন্দ্র-স্মৃতি' গ্রন্থে লিখেছেন-

'...রাজবাড়ীর পশ্চিমের দীঘির উত্তর-পশ্চিম কোণায় জুড়িবাংলা(জোড়া বাংলা) - পাশাপাশি দুইটি বাংলা ঘর পূর্ব্বদুয়ারী।...সেবার (১৩০৮) কবি আসিয়া জুড়িবাংলায় আছেন। সন্ধ্যায় রোজই দস্তুরমত মজলিশ মিলিত। কবির কথা শুনিবার আগ্রহ সকলকেই পাইয়া বসিল। দেশীয় রাজাদের...সাহায্যে দেশকে কি ভাবে গড়া যায়- এইসব কথা ব্রজেন্দ্রকিশোরের মনে গভীর রেখাপাত করিয়ছিল। কোনো সময়ে শেলী, ব্রাউনিং ইত্যাদি কবির কাব্য পাঠ করিয়া কবি উন্মাদনার সঙ্গে সেগুলি তর্জমা করিয়া মহারাজকুমারকে শুনাইতেন...মাঝে মাঝে কবি তাঁহার নূতন লেখাও তাঁহাদের শুনাইতেন।... কোনো কোনো দিন ব্রজেন্দ্রকিশোর খুব নিরিবিলি আসিয়া দেখিয়াছেন- অতি প্রত্যূষে কি আবেগময় সুরে প্রার্থনা সঙ্গীত গাহিয়া চলিয়াছেন অর্গ্যান বাজাইয়া।... নিমীলিত নেত্রে অর্গ্যানের সুরে সুর মিলাইয়া "বল দাও মোরে বল দাও" কবি কি আবেগেই গাহিতেছেন...।'
        [সূত্র: রবিজীবনী (পঞ্চম খণ্ড)। প্রশান্তকুমার পাল। পৃষ্ঠা ৩৫, ৪৫]

ধারণা করা, রবীন্দ্রনাথ ১৩০৮ বঙ্গাব্দের ৭ই কার্তিকের কিছু পরে, ত্রিপুরা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সত্যরঞ্জন বসু'র রচনা অনুসারে জানা যায়, এই সময় তিনি এই সময় রাজবাড়ির 'জোড়া বাংলা'তে থাকতেন। সম্ভবত ত্রিপুরায় অবস্থান কালে বা তার কিছু আগে এই গানটি রচনা করেছিলেন।

১৩০৮ ৭ই পৌষ তারিখে ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে গানটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন।

মোরা সত্যের পরে মন।১৩০৮ বঙ্গাব্দ ১১ মাঘ ২৪ জানুয়ারি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ] দ্বিসপ্ততিতম (৭২) সাম্বৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই উৎসবে সকাল ও সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত উপাসনায় রবীন্দ্রনাথের রচিত মোট ৮টি গান পরিবেশিত হয়েছিল। এর ভিতরে ২টি গান সকালের অধিবেশনে আদি ব্রাহ্মসমাজ গৃহে পরিবেশিত হয়েছিল। বাকি ৬টি গান পরিবেশিত হয়েছিল সন্ধ্যার উপাসনায়, মহর্ষিভবনে। এর ভিতরে নতুন গান ছিল ৭টি।  গানগুলি হলো-সকালের অধিবেশন । স্থান : আদি ব্রাহ্মসমাজ গৃহ

১. মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্তদ্বারে [পূজা-৩৬৮] [তথ্য]

সন্ধ্যাবেলার অধিবেশন । স্থান : মহর্ষিভবন

১. মোরা সত্যের’ পরে মন [বিচিত্র-৪০] [তথ্য]
২. আমার বিচার তুমি করো তব আপন করে [পূজা-১১২] [তথ্যয]
৩. সফল করো হে প্রভু আজি সভা [পূজা-৩০৫][তথ্য ]
৪. আমি কী বলে করিব নিবেদন [পূজা-৪৭৮] [তথ্য]
৫. ডাকো মোরে আজি এ নিশীথে [পূজা-২৮১] [তথ্যয]
৬. আমি জেনে শুনে তবু ভুলে বসে আছি [পূজা-৪০৪][পূজা ও প্রার্থনা-৬৩] [তথ্য]

সমালোচনী পত্রিকার মাঘ-ফাল্গুন ১৩০৮ সংখ্যায় একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। এই গানটি হলো
        ওগো দেবতা আমার, পাষাণ দেবতা

প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থে দুটি গান গানকে ১৩০৯ বঙ্গাব্দের বর্ষাবরণ উপলক্ষে রচনা করেছিলেন। এই গান দুটি হলো-
        হে ভারত, আজি তোমারি সভায়
        নব বৎসর করিলাম পণ