বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্তদ্বারে
তোমার বিশ্বের সভাতে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
৩৬৮।
মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্তদ্বারে তোমার বিশ্বের সভাতে
আজি এ মঙ্গলপ্রভাতে ॥
উদয়গিরি হতে উচ্চে কহো মোরে : তিমির লয় হল দীপ্তিসাগরে-
স্বার্থ হতে জাগো, দৈন্য হতে জাগো, সব জড়তা হতে জাগো জাগো রে
সতেজ উন্নত শোভাতে ॥
বাহির করো তব পথের মাঝে, বরণ করো মোরে তোমার কাজে।
নিবিড় আবরণ করো বিমোচন, মুক্ত করো সব তুচ্ছ শোচন,
ধৌত করো মুগ্ধ লোচন তোমার উজ্জ্বল শুভ্ররোচন
নবীন নির্মল বিভাতে ॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায় নি।
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ১৩০৮ বঙ্গাব্দের
১১ই মাঘ [শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ]
৭২তম মাঘোৎসবের প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ গানটি এই মাঘোৎসব উপলক্ষে রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৯ মাস।
[৪০ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
গান
-
গীতবিতান
-
গীতিচর্চ্চা [বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। ৩৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ২১]
[নমুনা]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা ১১০]
[নমুনা]
-
বৈতালিক
[চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।]।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)। মিশ্ররামকেলি-তেওড়া। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান সপ্তবিংশ (২৭) খণ্ডের খণ্ডের ১৫ সংখ্যক গান।
মিশ্র রামকেলী-তেওরা। পৃষ্ঠা ৪৫। [নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৮২৩ শকাব্দ, ১৩০৮ বঙ্গাব্দ)।
রামকেলী-তেওরা । পৃষ্ঠা: ১৬২-৬৩।
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (ভাদ্র
১৩১০)। মিশ্র রামাকেলী-তেওরা। পৃষ্ঠা: ২০২। [নমুনা
-
রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন
রেকর্ড কোম্পানি গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। শিল্পী ছিলেন
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। রেকর্ড নম্বর
P 4472
।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১১ মাঘ
১৩০৮ বঙ্গাব্দ [শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ]
৭২তম মাঘোৎসবের
প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
এই সূত্রে গানটি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩০৮ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর গানটি যে সকল
গ্রন্থাদিতে স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (ভাদ্র ১৩১০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ (মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ),
গান
দ্বিতীয়
সংস্করণ
(১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ),
বৈতালিক
(চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ) ও
গীতিচর্চ্চা
(১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)।
এরপর
গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের
বিশ্ব উপবিভাগের ৩
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে
প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৬৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
-
কাঙ্গালীচরণ সেন।
[ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি ১ম ভাগ থেকে স্বরবিতান-২৭ খণ্ডে গৃহীত হয়েছে]
-
দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর। [বৈতালিক]
-
সুর ও তাল:
-
রাগ: মিশ্র রামকেলী।
তাল: তেওরা।
-
রাগ:
ভৈরবী, কালাংড়া। তাল:
তেওরা।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ।
(প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ৭৪]
-
রাগ: রামকেলী। তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৮।
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
-
গ্রহস্বর: দা।
-
লয়: মধ্য।