বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমার বিচার তুমি
করো তব আপন করে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
-
গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
১১২
আমার বিচার তুমি
করো তব আপন করে।
দিনের কর্ম
আনিনু তোমার বিচারঘরে
॥
যদি পূজা করি
মিছা দেবতার,
শিরে ধরি যদি মিথ্যা আচার,
যদি পাপমনে করি
অবিচার কাহারো ’পরে,
আমার বিচার তুমি
করো তব আপন করে
॥
লোভে যদি কারে
দিয়ে থাকি দুখ,
ভয়ে হয়ে থাকি ধর্মবিমুখ,
পরের পীড়ায় পেয়ে
থাকি সুখ ক্ষণেক-তরে—
তুমি যে জীবন
দিয়েছ আমায় কলঙ্ক যদি দিয়ে থাকি তায়,
আপনি বিনাশ করি
আপনায় মোহের ভয়ে,
আমার বিচার তুমি
করো তব আপন করে
॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নাই।
- পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবে রবীন্দ্রনাথের
একটি গান পরিবেশিত হয়েছিল। গানটি হলো- 'দিনের বিচার কর'। অবশ্য এই গানটি
রবীন্দ্রনাথের রচিত কি না, এ নিয়ে অনেকের সংশয় আছে। এই গানটি পরিবর্তন করে
রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন 'আমার
বিচার তুমি করো'। এই গানটি প্রথম পরিবেশিত
হয়েছিল
১৩০৮ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবে। ধারণা করা হয়,
নতুন রূপের এই গানটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ১৩০৮ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবের কয়েকদিন
আগে। এই বিচারে ধারণ করা হয় গানটি রবীন্দ্রনাথের
৪০ বৎসর ৮-৯ মাস বয়সের রচনা।
[রবীন্দ্রনাথের
৪০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
- কাব্যগ্রন্থ
- গান
-
প্রথম সংস্করণ
[সিটি বুক সোসাইটি,
১৩১৫ বঙ্গাব্দ ।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী
কেদারা
-তাল তেওরা।
পৃষ্ঠা: ৩৩৯]
[নমুনা]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান
প্রেস, ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী
কেদারা
-তাল তেওরা।
পৃষ্ঠা:
৩৩২। [নমুনা]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'মোহিত
সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
২১০-২১১]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ: প্রার্থনা ২১,
পৃষ্ঠা: ৪৮। [নমুনা]
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১১২,
উপ-বিভাগ :
প্রার্থনা
২১, পৃষ্ঠা:
৫১-৫২।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ)। গান।
পৃষ্ঠা: ১২৫-২৬।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
বাঙালীর
গান (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা
আকাদেমি, এপ্রিল ২০০১), গান সংখ্যা ২৩৬,
কেদারা-একতালা,
পৃষ্ঠা ৬৬৬।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)।
কেদারা-তেওড়া।
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত
হয়েছিল।
-
স্বরবিতান ষড়বিংশ (২৬)
(বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩)
খণ্ডের
তৃতীয় গান। পৃষ্ঠা ৯-১০। [নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮২৩ শকাব্দ, ১৩০৮ বঙ্গাব্দ)। কেদারা-তেওরা। পৃষ্ঠা : ১৬৯।
[নমুনা]
-
সমালোচনা (মাঘ-ফাল্গুন ১৩০৮
বঙ্গাব্দ)। শিরোনাম-‘নিবেদন’।
পৃষ্ঠা ১৬৯।
- রেকর্ড: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
- প্রকাশের কালানুক্রম:
সমালোচনা
পত্রিকার 'মাঘ-ফাল্গুন ১৩০৮ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময়ের
ভিতর ১১ মাঘ ১৩০৮ বঙ্গাব্দ [শুক্রবার,
২৪ জানুয়ারি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ]
৭২তম মাঘোৎসবের
সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এরপর গানটি
তত্ত্ববোধিনী
পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩০৮ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫),
গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (১৩১৮),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১) ও
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
(১৩২৩)।
এ সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই
সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা, পর্যায়ের
উপবিভাগ: প্রার্থনা হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের ১১১ সংখ্যক গান হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ
১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
- গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি: