বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: অমল কমল সহজে জলের কোলে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা ৩২৫
অমল কমল সহজে জলের কোলে আনন্দে রহে ফুটিয়া,
ফিরে না সে কভু ‘আলয় কোথায়’' ব’লে ধুলায় ধুলায় লুটিয়া ॥
তেমনি সহজে আনন্দে হরষিত
তোমার মাঝারে রব নিমগ্নচিত,
পূজাশতদল আপনি সে বিকশিত সব সংশয় টুটিয়া ॥
কোথা আছ তুমি পথ না খুঁজিব কভু, শুধাব না কোনো পথিকে—
তোমারি মাঝারে ভ্রমিব ফিরিব প্রভু, যখন ফিরিব যে দিকে।
চলিব যখন তোমার আকাশগেহে
তোমার অমৃতপ্রবাহ লাগিবে দেহে,
তোমার পবন সখার মতন স্নেহে বক্ষে আসিবে ছুটিয়া ॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায় নি।
-
পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনার সুনির্দিষ্ট তারিখ জানা যায় নি। ১৩০৮
বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের ৯ তারিখে প্রকাশিত হয়
নৈবেদ্য নামক গান ও কবিতার সংকলন। এই গ্রন্থের গানগুলোর রচনার তারিখ
নেই। অনুমান করা হয়, ১৩০৭ বঙ্গাব্দের শেষার্ধে এই গ্রন্থের রচনা শুরু করেছিলেন।
এই বছরের কোনো এক সময় তিনি এই
গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্র
রবীন্দ্রনাথের ৪০ বৎসর।
[৪০
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
গান
-
দ্বিতীয় সংস্করণ ইন্ডিয়ান প্রেস ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী
বেহাগ-তাল লঘু একতালা। পৃষ্ঠা: ৩৫৭ [নমুনা ]
-
গীতবিতান
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১। পৃষ্ঠা ৯০]
[নমুনা]
-
নৈবেদ্য
-
প্রথম
সংস্করণ [আদি
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র।
আষাঢ় ১৩০৮ বঙ্গাব্দ
পৃষ্ঠা: ২৩-২৪]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টম খণ্ড (বিশ্বভারতী)।
১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৬-১৭।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি পঞ্চম ভাগ
[৯ বৈশাখ ১৩১৬ বঙ্গাব্দ।
বেহাগ-লঘু-একতালা।
কাঙ্গালীচরণ সেন কৃত
স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত
হয়েছিল।
-
স্বরবিতান চতুর্বিংশ
(২৪) খণ্ডের দ্বিতীয় গান। বেহাগ-একতাল। পৃষ্ঠা: ৮-১০।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮২৩ শকাব্দ,
১৩১৪
বঙ্গাব্দ) ।
বেহাগ- লঘু একতাল।
পৃষ্ঠা: ১৮৪।
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (অগ্রহায়ণ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
(অগ্রহায়ণ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত
হয়েছিল।
কিন্তু স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ ছিল না।
-
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
-
প্রকাশের কালানুক্রম: সঙ্গীত প্রকাশিকা
পত্রিকার 'অগ্রহায়ণ ১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
১৩১৪ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ
অষ্টসপ্ততিতম (৭৮)
সাংবৎসরিক মাঘোৎসবে গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল।
এই সূত্রে গানটি
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার ' ফাল্গু ন
১৩১৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর যে সকল পত্রিকা ও গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ ষষ্ঠ
খণ্ড
(১৩১০
বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি পঞ্চম ভাগ (বৈশাখ
১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
গান
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
নৈবেদ্য
(১৩২১ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও
কাব্যগ্রন্থ
সপ্তম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল
গ্রন্থাদির পরে
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ
আনন্দ-এর
১৭
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের
৩২৫।
-
গ . সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
স্বরবিতান-২৪
-
সুর ও তাল:
-
রাগ-বেহাগ।
তাল-একতাল। স্বরবিতান-২৪
-
রাগ-বেহাগ।
তাল-লঘু একতাল। ৬ মাত্রায় বিন্যাস্ত। ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি-প্রথম
ভাগ
- রাগ:
বেহাগ। তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা:
২৩]
-
রাগ: বেহাগ। তাল:
একতাল। [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৭।]
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ
-
গ্রহস্বর: গা।
-
লয়: মধ্য।