বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:আমি
জেনে শুনে তবু ভুলে বসে আছি
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমি জেনে শুনে তবু ভুলে বসে আছি, দিবস কাটে বৃথায় হে
–
আমি যেতে চাই তব পথ পানে, কত বাধা পায় পায় হে ॥
চারি দিকে হেরো ঘিরিছে কারা, শত
বাঁধনে জড়ায় হে–
আমি ছাড়াতে চাহি, ছাড়ে না কেন গো, ডুবায়ে রাখে মায়ায় হে ॥
দাও ভেঙে দাও এ ভবের সুখ, কাজ নেই এ
খেলায় হে।
আমি ভুলে থাকি যত অবোধের মতো বেলা বহে তত যায় হে ॥
হানো তব বাজ হৃদয়গহনে, দুখানল জ্বালো
তায় হে–
নয়নের জলে ভাসায়ে আমারে সে জল দাও
মুছায়ে হে ॥
শূন্য করে দাও হৃদয় আমার, আসন পাতো
সেথায় হে–
তুমি এসো এসো, নাথ হয়ে বোসো, ভুলো
না আর আমায় হে ॥
- পাণ্ডুলিপর পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
- তথ্যানুসন্ধান
-
ক.
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। ১৩০৮ বঙ্গাব্দের
১১ই মাঘ [শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ]
৭২তম মাঘোৎসবের প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ গানটি এই মাঘোৎসব উপলক্ষে রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪০ বৎসর ৯ মাস।
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ,
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী বেহাগ। তাল একতালা।
পৃষ্ঠা: ৪৪৯]
[নমুনা]
- গান
-
প্রথম সংস্করণ
[সিটি বুক সোসাইটি,
১৩১৫ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী বেহাগ- তাল
একতালা। পৃষ্ঠা
২৩৯-২৪০]
[নমুনা
প্রথমাংশ
শেষাংশ]
-
ইন্ডিয়ান
প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী মিশ্র কেদারা-তাল একতালা।
পৃষ্ঠা: ৩০১-৩০২। [নমুনা:
প্রথমাংশ
শেষাংশ]
]
-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা [আদি-ব্রহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০০ বঙ্গাব্দ]।
রাগিণী মিশ্র
কেদারা-তাল একতালা। পৃষ্ঠা: ২৮৭-২৮৯
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮),
কাব্য-গ্রন্থাবলী (১৩০৩
বঙ্গাব্দ)-এর ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৩০
] [নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী,মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ।
পূজা,
বিবিধ ৩২ । পৃষ্ঠা ১৬৩]
[নমুনা]
- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা: ৪০৩
উপবিভাগ: বিবিধ-৩২।
পূজা ও প্রার্থনা ৬৩।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান।
পৃষ্ঠা: ১১৩।
[নমুনা]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৪র্থ ভাগ (বৈশাখ ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)।
কীর্তনের সুর-দাদরা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
রবিচ্ছায়া
(সাধারণ
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২ বঙ্গাব্দ)। ব্রহ্মসঙ্গীত
১২।
রাগিণী বেহাগ-
তাল একতালা। পৃষ্ঠা: ১১১-১১২। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী (হিতবাদী ১৩১১)। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী বেহাগ-
তাল একতালা।
গান সংখ্যা ২৮৫।
পৃষ্ঠা: ১০২৭
[নমুনা]
-
স্বরবিতান
চতুর্বিংশ (২৪) খণ্ডের ৬ষ্ঠ গান। পৃষ্ঠা: ১৭-২৩।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী
(পৌষ ১৮০৬
শকাব্দ,
১২৯১ বঙ্গাব্দ)। গান। বেহাগ-একতালা। পৃষ্ঠা ১৮৬।
[নমুনা]
(ফাল্গুন১৮২৩ শকাব্দ,
১৩০৮ বঙ্গাব্দ)। আখর-সহ। পৃষ্ঠা ১৬৯-৭০
-
পরিবেশনা: ১১ মাঘ ১৩০৮ বঙ্গাব্দ
[শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ]
৭২তম মাঘোৎসবের
সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
-
সুর ও তাল: কীর্তনের
সুর। তাল-দাদরা । স্বরবিতান-২৪
-
অঙ্গ: কীর্তন। তাল:
দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।
পৃষ্ঠা: ৩২]
-
রাগ: বেহাগ। অঙ্গ: কীর্তন।
তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১] পৃষ্ঠা:
৬১।]
-
সুরাঙ্গ:
কীর্তনাঙ্গ। কীর্তনের সুরে রচিত
প্রথম রবীন্দ্র সংগীত। এ গানটি
আরও
একদিক দিয়ে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। এ বিষয়ে প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী
দ্বিতীয় খণ্ডে
(পৃষ্ঠা
২২৬, মে ২০০৬) বিস্তারিত লিখেছেন। বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় অংশ
তুলে ধরা হলো। "...ভারতবর্ষীয় ও সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে কীর্তনের সুরে রচিত ব্রহ্মসংগীতের
ব্যাপক সমাদর থাকলেও আদি ব্রাহ্মসমাজে এতদিন ধ্রুপদাঙ্গ সুরেরই প্রাধান্য ছিল।
কিন্তু বৈষ্ণব কবিতার প্রতি রবীন্দ্রনাথের যে আগ্রহের পরিচয় এর আগে আমরা পেয়েছি
,
সম্ভবত সেই আকর্ষণের সূত্রেই তিনি কীর্তনাঙ্গ সুরের প্রতি আকৃষ্ট হন। এমন-কি
তত্ত্ববোধিনী-তে রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষরিত মাঘোৎসবের বিজ্ঞপ্তিতেও লেখা হয় : ' ঐ দিবস
মধ্যাহ্ন হইতে শ্রীমৎ প্রধান আচার্য্য মহাশয়ের ভবনের বহিঃপ্রাঙ্গণে পাঠ
আলোচনা
ও
সংকীর্তন হইয়া ৩টার সময়ে উপাসনা আরম্ভ হইবে।' পরিবর্তনটি
অন্যদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল
The Indian Massenger
[Vol. II, No, Jan 4, p.140] ..."
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
গ্রহস্বর: সা।
গানটির
গীতরীতি সম্পর্কে বিশেষ অবহিত হওয়া আবশ্যক। দ্রষ্টব্য স্বরবিতান-৪৫,
পৃষ্ঠা ৭৭।