বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
বসে আছি হে কবে
শুনিব তোমার বাণী।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা: ১৬৯।
উপবিভাগ:
বিরহ
৪২।
বসে আছি হে কবে
শুনিব তোমার বাণী।
কবে বাহির হইব
জগতে মম জীবন ধন্য মানি
॥
কবে প্রাণ
জাগিবে,
তব প্রেম গাহিবে,
দ্বারে
দ্বারে
ফিরি সবার হৃদয় চাহিবে,
নরনারীমন করিয়া
হরণ চরণে দিবে আনি
॥
কেহ শুনে না গান,
জাগে না প্রাণ,
বিফলে
গীত-অবসান—
তোমার বচন করিব
রচন সাধ্য নাহি নাহি।
তুমি না কহিলে
কেমনে কব প্রবল অজেয় বাণী তব,
তুমি যা বলিবে
তাই বলিব— আমি কিছুই না জানি।
তব নামে আমি
সবারে ডাকিব,
হৃদয়ে লইব টানি
॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
- পাঠভেদ:
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১১ মাঘ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ তারিখে
সপ্তপঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটিসহ ২৬টি
নতুন গান পরিবেশিত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে
এই গানগুলো রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৮০৮ শকাব্দ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ।
আলাইয়া-একতালা। পৃষ্ঠা: ২১৫।
[নমুনা]
-
রেকর্ড সূত্র: পাওয়া যায়
নি।
-
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১১ মাঘ ১২৯৩
বঙ্গাব্দ
[শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ]
তারিখে সপ্তপঞ্চাশ সাংবৎসরিক
মাঘোৎসব উপলক্ষে
আয়োজিত
অনুষ্ঠানের প্রাতঃকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল। তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৮০৮ শকাব্দ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ)
সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গানের বহি ও বাল্মীকি প্রতিভা
(১৩০০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থাবলী
(১৩০৩ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ (অষ্টম খণ্ড
১৩১০ বঙ্গাব্দ),
গান
(প্রথম সংস্করণ
১৩১৫
বঙ্গাব্দ) ও
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ)
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি পঞ্চম ভাগ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) এবং কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল
গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই
সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৪২
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৬৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপি: [নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন। উল্লেখ্য,
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপিটি ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি
৫ম ভাগ থেকে
স্বরবিতান-২৫-এর ৬৯ পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে গৃহীত হয়েছে।
স্বরবিতান-২৫-এ গৃহীত স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।
- সুর ও
তাল:
- রাগ-আলাইয়া।
তাল-একতালা। স্বরবিতান-২৫
- রাগ:
আলাহিয়া বিলাবল। তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা।
সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৮]।
-
রাগ:
আলাহিয়া। তাল: একতাল।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১,
পৃষ্ঠা: ১১৮।
- বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
- সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ
- গ্রহস্বর: পা।
- লয়: মধ্য