ও নিঠুর, আরো কি বাণ তোমার তূণে আছে ?
তুমি মর্মে আমায় মারবে হিয়ার কাছে ॥
আমি পালিয়ে থাকি, মুদি আঁখি, আঁচল দিয়ে মুখ যে ঢাকি গো-
কোথাও কিছু আঘাত লাগে পাছে ॥
আমি মারকে তোমার ভয় করেছি ব'লে
তাই তো এমন হৃদয় ওঠে জ্বলে।
যে দিন সে ভয় খুচে যাবে সে দিন তোমার বাণ ফুরাবে গো-
মরণকে প্রাণ বরণ করে বাঁচে॥
আঁচল দিয়ে মুখ যে ঢাকি গো...
আমি মারকে তোমার ....
সে দিন তোমার বাণ ফুরাবে গো : স্বরবিতান ৪৪ (পৌষ ১৩৬২)
আঁচল দিয়ে মুখ যে ঢাকি ....
মারকে তোমার ....
সেদিন তোমার বাণ ফুরাবে : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতালি ৬। পৃষ্ঠা ৪২৫] [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২১৭, উপ-বিভাগ: দুঃখ-২৬।
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ১২ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩১-৩৩। [নমুনা]
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩২১ বঙ্গাব্দে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল গীতালি'র প্রথম সংস্করণের সাথে। এরপর কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ডের (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) গীতালি অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ
দুঃখ
-এর ২৬
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২১৭
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪৪-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
অঙ্গ: বাউল। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪০]
অঙ্গ: বাউল। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৩]
গ্রহস্বর-মা।
লয়-মধ্য।