এই করেছ ভালো, নিঠুর হে, নিঠুর হে, এই করেছ ভালো।
এমনি ক'রে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো ॥
আমার এ ধূপ না পোড়ালে গন্ধ কিছুই নাহি ঢালে,
আমার এ দীপ না জ্বালালে দেয় না কিছুই আলো ॥
যখন থাকি অচেতনে এ চিত্ত আমার
আঘাত সে যে পরশ তব, সেই তো পুরস্কার।
অন্ধকারে মোহ লাজে চোখে তোমায় দেখি না যে,
বজ্রে তোলো আগুন ক'রে আমার যত কালো ॥
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২২৩, উপ-বিভাগ: দুঃখ-৩১।
রেকর্ডসূত্র:
১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন মিস দাস (অমলা দাশ)। রেকর্ড নম্বর P 13312/9-13313।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩১৭ বঙ্গাব্দে
গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল
গীতাঞ্জলি
র প্রথম
সংস্করণের সাথে।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো-
গীতলিপি
চতুর্থ ভাগ (১৩১৭
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩
বঙ্গাব্দ),
গীতিচর্চ্চা
(১৩৩২ বঙ্গাব্দ) ও
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ দুঃখ
-এর ৩২
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২২৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।