ইমন কল্যাণ
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কল্যাণ ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে এই রাগের নাম যমুনা কল্যাণী। কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় যমুনা কল্যাণী থেকে ইয়ামন>ইমন কল্যাণ নামটি এসেছিল কিনা, এই সন্দেহ থেকেই যায়। অনেকের মতে, পারশ্যের ইয়ামন রাগটিকে আমির হযরত আমির খসরু, ভারতীয় রাগে পরিণত করেছিলেন।এই রাগটি কালক্রমে ইমন নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। পরে বিলাবল রাগের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছিল ইমন কল্যাণ। বিলাবলের সংমিশ্রণের কারণে এই রাগে শুদ্ধ মধ্যম যুক্ত হয়েছিল। এর মুখ্য সাঙ্গীতিক স্বরগুচ্ছ হ্ম গ গমগ র স। এই স্বরগুচ্ছ রাগটিকে ইমন থেকে স্বতন্ত্র রূপ প্রদান করে।

অঞ্চলের কোনো রাগের সাথে কল্যাণ রাগের মিশ্রণে আমির খসরু এই রাগটি তৈরি করেছিলেন।

এই রাগের এই রাগে উভয় মধ্যম ব্যবহৃত হয়। এর চলন অনেকটাই কল্যাণ রাগের মতো। শুদ্ধ মধ্যমের কৌশলী ব্যবহারের সূত্রে এই রাগ কল্যাণ থেকে পৃথক সুরশৈলী হিসেবে উপস্থাপিত হয়।
আরোহণ: স র গ হ্ম প ধ ন র্স
অবরোহণ: র্স ন ধ প হ্মগ মগ রস
ঠাট: কল্যাণ
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর: গ
সমবাদী স্বর: ন
অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ বাদী।
সময়: রাত্রি প্রথম প্রহর।
প্রকৃতি: শান্ত
পকড় : ন্ রগ রস, পহ্মগ রগ মগ র স।

তথ্যসূত্র: