দুখ দিয়েছ, দিয়েছ ক্ষতি নাই, কেন গো একেলা ফেলে রাখ ?
ডেকে নিলে ছিল যারা কাছে, তুমি তবে কাছে কাছে থাকো ॥
প্রাণ কারো সাড়া নাহি পায়, রবি শশী দেখা নাহি যায়,
এ পথে চলে যে অসহায়- তারে তুমি ডাকো, প্রভু, ডাকো ॥
সংসারের আলো নিভাইলে, বিষাদের আঁধার ঘনায়-
দেখাও তোমার বাতায়নে চির-আলো জ্বলিছে কোথায়।
শুষ্ক নির্ঝরের ধারে রই, পিপাসিত প্রাণ কাঁদে ওই-
অসীম প্রেমের উৎস কই, আমারে তৃষিত রেখো নাকো ॥
কে আমার আত্মীয় স্বজন- আজ আসে, কাল চলে যায়।
চরাচর ঘুরিছে কেবল- জগতের বিশ্রাম কোথায়।
সবাই আপনা নিয়ে রয় কে কাহারে দিবে গো আশ্রয়-
সংসারের নিরাশ্রয় জনে তোমার স্নেহেতে, নাথ, ঢাকো ॥
কে আমার আত্মীয় স্বজন- আজ আসে, কাল চলে যায়।
চরাচর ঘুরিছে কেবল- জগতের বিশ্রাম কোথায়।
সবাই আপনা নিয়ে রয় কে কাহারে দিবে গো আশ্রয়-
সংসারের নিরাশ্রয় জনে তোমার স্নেহেতে, নাথ, ঢাকো ॥
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ডে গানটির
প্রথম পংক্তিতে 'দিয়েছ' লেখা হয়েছিল 'দিয়েচ' বানানে। এই গানের শেষ চারটি পংক্তি
ছিল না। ফলে শেষ হয়েছিল - আমারে তৃষিত রেখো না ক' ॥
লক্ষ্যণীয় গানটির শেষের 'নাকো' বানান লেখা হয়েছিল " না ক' "।