পিনাকেতে লাগে টঙ্কার—

    বসুন্ধরার পঞ্জরতলে কম্পন জাগে শঙ্কার ॥

 আকাশেতে ঘোরে ঘূর্ণি  সৃষ্টির বাঁধ চূর্ণি,

   বজ্রভীষণ গর্জনরব প্রলয়ের জয়ডঙ্কার ॥

       স্বর্গ উঠিছে ক্রন্দি,  সুরপরিষদ বন্দী—

       তিমিরগহন দুঃসহ রাতে উঠে শৃঙ্খলঝঙ্কার।

    দানবদম্ভ তর্জি রুদ্র উঠিল গর্জি-

      লণ্ডভণ্ড লুটিল ধুলায় অভ্রভেদী অহঙ্কার ॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ:
  • RBVBMS 029
  [নমুনা]
  • RBVBMS 170 [নমুনা]
• পাঠভেদ:

• তথ্যানুসন্ধান

  • ক. রচনাকাল ও স্থান: কার্তিক ১৩৪০ বঙ্গাব্দ। (?)
                              গানটি রবীন্দ্রনাথের ৭২ বৎসর ৬ মাস বয়সের রচনা।  

  • খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

    • গ্রন্থ: 

      • গীতবিতান

      • প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮, পর্যায়: পূজা, উপবিভাগ: দুঃখ: ৪৬, পৃষ্ঠা: ১০০]  [নমুনা]
      • অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২৩৭, উপ-বিভাগ: দুঃখ-৪৬।

      • বাঁশরি

        •  প্রথম সংস্করণ [অগ্রহায়ণ ১৩৪০ বঙ্গাব্দ। তৃতীয় অঙ্ক, শেষ দৃশ্য, পুরন্দরের গান। পৃষ্ঠা: ১৩০]  [নমুনা]

        • রবীন্দ্ররচনাবলী চতুর্বিংশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৯৭।

      • স্বরবিতান ঊনষষ্টিতম (৫৯) খণ্ডের ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৮২-৮৪। [নমুনা]

    • পত্রিকা:

      • ভারতবর্ষ [পৌষ ১৩৪০। ১৩৪০ বঙ্গাব্দ। তৃতীয় অঙ্ক। শেষ দৃশ্য। পুরন্দরের গান। পৃষ্ঠা ৮] [নমুনা]

      • বিশ্বভারতী পত্রিকা [মাঘ-চৈত্র ১৩৬৯ বঙ্গাব্দ। শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল]

    • রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।

    • প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩৪০ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত বাঁশির কাব্যের তৃতীয় অঙ্কের শেষ দৃশ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এই বছরেই ভারতবর্ষ পত্রিকার 'পৌষ ১৩৪০' সংখ্যায় বাঁশরি নাটকের সাথে প্রকাশিত হয়েছিল।
      
      এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের উপবিভাগ দুঃখ -এর ৪৬ সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ২৩৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।

  • গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
    • স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
    • সুর ও তাল:
      • স্বরবিতান-৫৯-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ। অর্থাৎ 'দাদরা’ হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে।

      • রাগ: মেঘমল্লার। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৪]

      • অঙ্গ: নায়েকী কানাড়া। তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১২ ]

      • গ্রহস্বর-মা