বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
।
শিরোনাম:
অন্তরে জাগিছ অন্তরযামী
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
২৪৯
অন্তরে জাগিছ অন্তরযামী।
তবু সদা দূরে ভ্রমিতেছি আমি॥
সংসার সুখ করেছি বরণ,
তবু তুমি মম জীবনস্বামী॥
না জানিয়া পথ ভ্রমিতেছি পথে
আপন গরবে অসীম জগতে।
তবু স্নেহনেত্র জাগে ধ্রুবতারা,
তব শুভ আশিস আসিছে নামি
॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
- পাঠভেদ:
গানটির পাঠভেদ আছে।
স্বরবিতান-২৫-এর
৭৩ পৃষ্ঠায় নিম্নরূপ পাঠভেদ দেখানো
হয়েছে।
আপন গরবে অসীম জগতে :
কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩)
ব্রহ্মসঙ্গীত-স্বরলিপি ৬ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮)
আপন গৌরবে অসীম জগতে :
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় নাই।
গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল, ১৩০০ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘে [মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দ]
আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুঃষষ্ঠীতম মাঘোৎসবে। এই অনুষ্ঠানের আগে এই গানটির আর কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না। ধারণা করা এই অনুষ্ঠনা উপলক্ষে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩২ বৎসর ৯ মাসা।
[
৩২
বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[মজুমদার লাইব্রেরি,
১৩১০ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। পৃষ্ঠা: ১৭৫]
[নমুনা]
-
দশম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ,
ধর্ম্মসঙ্গীত।
পৃষ্ঠা ২৮০-২৮১][নমুনা]
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী বেহাগ-তাল ঝাঁপতাল।
পৃষ্ঠা: ৪৬৮]
[নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ
[ইন্ডিয়ান প্রেস ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী বেহাগ-তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা ২২৭] [নমুনা]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান
প্রেস ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬
বঙ্গাব্দ।
ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী বেহাগ- তাল ঝাঁপতাল। পৃষ্ঠা: ২৬১।
[নমুনা]
-
গীতবিতান
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
(ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১)। গান। পৃষ্ঠা: ১৬৬।
[নমুনা]
-
বাঙালির গান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২২৪। দুর্গাদাস লাহিড়ি সম্পাদিত। পশ্চিমবঙ্গ
বাংলা আকাদেমি সংস্করণ। এপ্রিল ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৬৪।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)।
বেহাগ-ঝাঁপতাল। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
-
স্বরবিতান পঞ্চবিংশ (২৫) খণ্ডের (পৌষ ১৪২২) প্রথম গান।
পৃষ্ঠা: ৫-৭।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধনী (ফাল্গুন
১৩০০ বঙ্গাব্দ) বঙ্গাব্দ)।
ভৈরবী-ঝাঁপতাল।
পৃষ্ঠা: ২২০।
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (কার্তিক ১৩১৬
বঙ্গাব্দ)।
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
-
রেকর্ড:
গানটি প্রথম গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ড প্রকাশিত হয় মানদাসুন্দরী দাসীর কণ্ঠে।
রেকর্ড নম্বর
12-13580/12-13679
P-3803
।
রেকর্ডে রাগের উল্লেখ আছে বেহাগ মিশ্র।
[সূত্র: রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত। সিদ্ধার্থ ঘোষ। ইন্দিরা সংগীত শিক্ষায়তন্, নভেম্বর
১৯৮৯]
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩০০ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ
অনুষ্ঠিত আদি ব্রাহ্মসমাজের চতুঃষষ্ঠীতম মাঘোৎসবে এ
গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই উৎসবের পরিবেশিত গানগুলো প্রকাশিত হয়েছিল
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩০৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
এরপর গানটি যে সকল গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো
হলো-
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ)
ও দ্বিতীয়
সংস্করণ (১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড (১৩২৩),
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩২৬ বঙ্গাব্দ সংখ্যা) ও
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) ।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
, '১৩০৩
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'কাব্যগ্রন্থাবলী' থেকে গৃহীত হয়েছিল।
এরপর
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
আশ্বাস
উপবিভাগের ৮ সংখ্যক গান
হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৪৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙ্গাগান: এটি একটি ভাঙা গান।
প্রফুল্লকুমার দাস তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীত-গবেষণা-গ্রন্থমালা'
(সুরঙ্গমা,
২৬ বৈশাখ ১৩৬৭:
পৃষ্ঠা ৪৭)
গ্রন্থে মূল গানটির একটি পাঠ সংযোজন করেছেন। মূল গানটি হলো—
বেহাগ।
ঝাঁপতাল।
কৌন যোগী
ভয়ো, কোনো
মেঁ
মুদ্রা
অঙ্গে
বভূতি লাগাওয়েরি পাঁওয়া ॥
এক জপ তপ কর,
এক বনবাস মেঁ,
এক তেরো
নাম ধ্যাঁওয়েরি পাঁওয়া॥
প্রফুল্লকুমার দাস
এই গ্রন্থে মূল গানটির নিচে লিখেছেন—
'শ্রদ্ধেয়া ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী'র নিকট এই মূলগানটির দুটি কলি (স্থায়ী ও অন্তরা)
পাওয়া গেছে। এতৎসংশ্লিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত 'অন্তরে জাগিছ অন্তরযামী' (স্বরবিতান ২৫)
চারকলিযুক্ত।'
-
স্বরলিপিকার্বরলিপিকার:
স্বরবিতান পঞ্চবিংশ (২৫) খণ্ডের (পৌষ ১৪২২)
৬৫-৬৬ পৃষ্ঠায় কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি সুরভেদ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ এই স্বরলিপিটি গ্রহণ করা হয়েছে- ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৬ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮)
থেকে।
স্বরবিতান পঞ্চবিংশ ২৫-এ
গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না। উল্লেখ্য স্বরবিতান ২৫ প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল ১৩৫৯ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে। সে সময় গ্রন্থটির
সম্পাদনা করেছিলেন ইন্দিরা দেবী। এর পরে ১৩৭৮ খ্রিষ্টাব্দের পৌষ মাসে এর একটি
সংস্করণ হয়। এই সংস্করণ অনুসারেই পরবর্তী সময়ে গ্রন্থটি পুনর্মুদ্রিত হয়ে আসছে। এ
সকল গ্রন্থ থেকে স্পষ্ট জানা যায় না, মূল স্বরলিপিটি কে করেছিলেন।
-
সুর ও তাল:
-
রাগ-বেহাগ।
তাল- ঝাঁপতাল।
[স্বরবিতান
পঞ্চবিংশ (২৫) খণ্ডের
(পৌষ ১৪২২)]
-
তত্ত্ববোধনী (ফাল্গুন
১৩০০ বঙ্গাব্দ) বঙ্গাব্দ) সংখ্যায়
মুদ্রিত গানের উপরে রাগ-তালের উল্লেখ আছে
'ভৈরবী-ঝাঁপতাল'।
সম্ভবত রাগের নাম ভুলক্রমে 'ভৈরবী' ছাপা হয়েছিল।
-
রাগ: বেহাগ। তাল: ঝাঁপতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
-
রাগ: বেহাগ। তাল: ঝাঁপতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]
-
বিষয়াঙ্গ:
ব্রহ্মসঙ্গীত
-
সুরাঙ্গ:
ধ্রুপদাঙ্গ
-
গ্রহস্বর:
-
ন্।
[স্বরবিতান
পঞ্চবিংশ (২৫) খণ্ডের
(পৌষ ১৪২২)]
-
প্।
[ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ষষ্ঠ ভাগ (জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ বঙ্গাব্দ)]
-
লয়-মধ্য।