চোখের
আলোয়
দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।
অন্তরে
আজ
দেখব,
যখন
আলোক
নাহি রে
॥
ধরায় যখন দাও না
ধরা হৃদয় তখন তোমায় ভরা,
এখন
তোমার
আপন
আলোয়
তোমায় চাহি রে
॥
তোমায়
নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে।
খেলার
পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে।
থাক্ তবে সেই
কেবল খেলা,
হোক্-না
এখন প্রাণের মেলা—
তারের
বীণা ভাঙল,
হৃদয়-বীণায় গাহি রে
॥
[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ)। চতুর্থ দৃশ্য। যুবকদলের গান। পৃষ্ঠা ৭৬] [নমুনা]
স্বরবিতান সপ্তম (৭, ফাল্গুনী) খণ্ডের (কার্তিক ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ২৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৮৪-৮৬। [নমুনা]
পত্রিকা:
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল 'সবুজপত্র'
পত্রিকার 'চৈত্র
১৩২১ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়
ফাল্গুনী নাটকের চতুর্থ দৃশ্যের সাথে। এরপর 'ফাল্গুনী' নাটকের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২২ বঙ্গাব্দে। ১৩৩৩
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
ঋতু-উৎসব
নামক নাট্যসংকলনে ফাল্গুনী নাটকের সাথে প্রকাশিত হয়েছিল।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে। এরপর
এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
অন্তর্মুখ
উপবিভাগের
প্রথম গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৫৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।