বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে,
আর কোলাহল নাই।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান অখণ্ড ( বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২ )-এর
পূজা
পর্যায়ের ২৫৬ সংখ্যক গান। উপবিভাগ
অন্তর্মুখ
৪,
গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে,
আর কোলাহল নাই।
রহি রহি শুধু সুদূর সিন্ধুর ধ্বনি শুনিবারে পাই
॥
সকল বাসনা
চিত্তে এল ফিরে, নিবিড় আঁধার ঘনালো বাহিরে—
প্রদীপ একটি নিভৃত অন্তরে জ্বলিতেছে এক ঠাঁই
॥
অসীম মঙ্গলে মিলিল মাধুরী,
খেলা হল সমাধান।
চপল চঞ্চল লহরীলীলা পারাবারে অবসান।
নীরব মন্ত্রে
হৃদয়মাঝে শান্তি শান্তি শান্তি বাজে,
অরূপকান্তি নিরিখ অন্তরে মুদিতলোচনে চাই
॥
RBVBMS 426 (i)।
গানটি মজুমদার
পুঁথিতে লিখিত হয়েছিল। অনেক কাটাকুটির পর গানটি উক্ত পুঁথিতেই পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ
করে।
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। গানটি ১১ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৩তম
মাঘোৎসবের সন্ধ্যার অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এর আগে গানটি আর
কোনো বা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নি। এই কারণে ধারণা করা হয়- ১৩০৯ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসব উপলক্ষে
রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- রবীন্দ্রনাথের
৪১ বৎসর।
[রবীন্দ্রনাথের ৪১ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের রচনা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
- গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
১৩১০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'মোহিত
সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা:
২২০-২২১]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮,
পূজা।
অন্তর্মুখ ৪। পৃষ্ঠা ১০৭]
[নমুনা]
- অখণ্ড
সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ ( বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ ),
পর্যায়:
পূজা: ২৫
৬,
উপবিভাগ:
অন্তর্মুখ-
৪।
ধর্ম্মসঙ্গীত
- [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান। পৃষ্ঠা: ৯৩-৯৪]
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম ভাগ [১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ]।
পরজ বসন্ত-রূপকড়া। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) ১৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪১-৪৩।
[নমুনা]
পত্রিকা:
প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি ১১ মাঘ ১৩০৯
বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৩তম
মাঘোৎসবের সন্ধ্যার অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এরপর গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল
তত্ত্ববোধিনী
'ফাল্গুন ১৩০৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ,
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ), গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫
বঙ্গাব্দ) ও
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও
কাব্যগ্রন্থ
দশম খণ্ড (১৩২৩)।
এ সকল গ্রন্থাদির
পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
গানটি গৃহীত হয়েছিল,
'মোহিত সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের ৮ম ভাগের 'গান' অংশ থেকে। এরপর
গীতবিতানের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
অন্তর্মুখ
উপবিভাগের চতুর্থ গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৫৬ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি
একইভাবে অখণ্ড গীতবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত
হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন। [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-১,
স্বরলিপি-৪]
- পর্যায়:
- তাল:
-
রূপকড়া।
-
[স্বরবিতান ষড়বিংশ (২৬)]
-
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ ।
পৃষ্ঠা:
৪৮]
-
[রাগ-রাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা:
৮৭]
[রূপকড়া
তালে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
গ্রহস্বর:
দা।
লয়:
মধ্য।