হে চিরনূতন, আজি এ দিনের প্রথম গানে
জীবন আমার উঠুক বিকাশি তোমার পানে ॥
তোমার বাণীতে সীমাহীন আশা, চিরদিবসের প্রাণময়ী ভাষা-
ক্ষয়হীন ধন ভরি দেয় মন তোমার হাতের দানে ॥
এ শুভলগনে জাগুক গগনে অমৃতবায়ু,
আনুক জীবনে নবজনমের অমল আয়ু।
জীর্ণ যা-কিছু ক্ষীণ নবীনের মাঝে হোক তা বিলীন-
ধুয়ে যাক যত পুরানো মলিন
নব-আলোকের স্নানে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩৩৩
বঙ্গাব্দের নববর্ষ উপলক্ষে গানটি রচিত হয়েছিল।
গানটি রবীন্দ্রনাথ
৬৪ বৎসর ১১ মাস অতিক্রান্ত বয়সে রচনা করেছিলেন।
[রবীন্দ্রনাথের
৬৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
১৩৩৩ বঙ্গাব্দ সংস্করণের ৩৭ সংখ্যক গান। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী চতুর্থ খণ্ড (পশ্চিমবঙ্গ)।
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডের ৪৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১১২-১১৩। [নমুনা]
পত্রিকা:
প্রবাসী [শ্রাবণ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। নববর্ষের গান। গান সংখ্যা ১। পৃষ্ঠা ৬২১] [নমুনা]
শান্তিনিকেতন পত্রিকা (বৈশাখ, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)।
সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা (জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)। রমা মজুমদার-কৃত স্বরলিপিসহ প্রকাশিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলশান্তিনিকেতন পত্রিকা'র
'বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায়। এরপর
যে সকল
পত্রপত্রিকা এবং গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল,
সেগুলো হলো- প্রবাসী
'শ্রাবণ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যা,
বৈকালী(১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)
এবং
সঙ্গীত
বিজ্ঞান প্রবেশিকা 'জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
১৩৩৯ বঙ্গাব্দে আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
'আধুনিক সংগ্রহ' বিভাগে ।
এরপর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের
জাগরণ
উপবিভাগের ১০ সংখ্যক গান
হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২৭৩ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গানটি একইভাবে
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপিকার: রমা মজুমদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান পঞ্চম (৫) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : ভৈরবী। তাল : কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৫।
রাগ: ভৈরবী। তাল : কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৭।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।