বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তোমার
সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙাও সে ঘুম আমার রমণীয়
পাঠ ও পাঠভেদ:
তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙাও সে ঘুম আমার রমণীয়—
জাগরণের সঙ্গিনী সে, তারে তোমার পরশ দিয়ো ॥
অন্তরে তার গভীর ক্ষুধা, গোপনে চায় আলোকসুধা,
আমার রাতের বুকে সে যে তোমার প্রাতের আপন প্রিয় ॥
তারি লাগি আকাশ রাঙা আঁধার-ভাঙা অরুণরাগে,
তারি লাগি পাখির গানে নবীন আশার আলাপ জাগে।
নীরব তোমার চরণধ্বনি শুনায় তারে আগমনী,
সন্ধ্যাবেলার কুঁড়ি তারে সকালবেলায় তুলে নিয়ো ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের একাধিক পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায়। যেমন-
পাঠভেদ: গীতবিতানে যে পাঠ পাওয়া যায়, তার সাথে পাণ্ডুলিপির পাঠে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। [পাণ্ডুলিপির নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: RBVBMS 127 এবং RBVBMS 008 পাণ্ডুলিপি অনুসারে গানটির রচনাকাল পাওয়া যায় '২৭ অগ্রহায়ণ ১৩৩৪'। উল্লেখ্য, ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ২৭ ও ২৯ অগ্রহায়ণ কলকাতায় অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি-সহ দুটি গান রচনা করেন। অপর গানটি হলো-
২৯ অগ্রহায়ণ। নিশা-অবসানে কে দিল গোপনে আনি [পূজা-১৩৫]
[তথ্য]
প্রভাতকুমার
মুখোপাধ্যায় তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থ [টেগোর রিসার্চ
ইনস্টিটিউট, ডিসেম্বর ২০০৩, পৃষ্ঠা ২৪০] -এ স্থান উল্লেখ করেছেন 'কলিকাতা'।
এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
— ৬৬ বৎসর
৮ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৬৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, শ্রাবণ ১৩৩৯। পৃষ্ঠা: ৮১৫।। পৃষ্ঠা: ৭৭০-৭৭১] [নমুনা: ৭৭০, ৭৭১]
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড (পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান
একত্রিংশ (৩১,
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের
(পৌষ ১৪১২) ৪৯ সংখ্যক
গান।
পৃষ্ঠা ১৬৪-৬৬।
রেকর্ড:
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে কলম্বিয়া রেকর্ড কোম্পানি বেশ কিছু
রবীন্দ্রসঙ্গীতের রেকর্ড প্রকাশ করে। এই সময়ের ভিতরে এই গানটি রেকর্ডে
গেয়েছিলেন উমা বসু। রেকর্ড নম্বর
N 7323।
[সূত্র:
রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত। সিদ্ধার্থ ঘোষ। ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন।
নভেম্বর ১৯৮৯। পৃষ্ঠা: ৮৮]
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩৩৬ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে প্রকাশিত
'গীতমালিকা'র দ্বিতীয় খণ্ডে গানটি গৃহীত হয়ৈছিল।
১৩৩৯
শ্রাবণ মাসে
প্রকাশিত গীতবিতানের
তৃতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৩৮ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।