বিষয়:রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:কেন বাণী তব নাহি শুনি নাথ হে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা: ৩৯৬
কেন বাণী তব নাহি শুনি নাথ হে ?
অন্ধজনে নয়ন দিয়ে অন্ধকারে ফেলিলে, বিরহে তব কাটে দিনরাত হে ॥
স্বপনসম মিলাবে যদি কেন গো দিলে চেতনা-
চকিতে শুধু দেখা দিয়ে চিরমরমবেদনা,
আপনা-পানে চাহি শুধু নয়নজলপাত হে ॥
পরশে তব জীবন নব সহসা যদি জাগিল
কেন জীবন বিফল কর- মরণশরঘাত হে।
অহঙ্কার চূর্ণ করো, প্রেমে মন পূর্ণ করো,
হৃদয় মন হরণ করি রাখো তব সাথ হে ॥
- পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্র পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায় নি।
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১১ মাঘ ১২৯৩ বঙ্গাব্দ শনিবার ২৩ জানুয়ারি ১৮৮৬ তারিখে
সপ্তপঞ্চাশ সাংবৎসরিক মাঘোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ এই গানটিসহ ২৬টি
নতুন গান পরিবেশিত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে
এই গানগুলো রচনা করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ২৫ বৎসর ৯ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
২৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
ইন্দিরাদেবী ।
- সুর ও তাল:
- রাগ-ভৈঁরো। তাল-ঝাঁপতাল।
[স্বরবিতান
অষ্টম
(৮) খণ্ডের (মাঘ ১৪১৫)]
-
রাগ: ভৈরবী। তাল: ঝাঁপতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৪৬]
- রাগ: ভৈরব। তাল: ঝাঁপতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৮৪।]
- বিষায়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
- গ্রহস্বর: গা।
- লয়: ঈষৎ দ্রুত।