বিষয়: 
রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
গান সংখ্যা: 
শিরোনাম: 
 আমার হৃদয় 
তোমার আপন হাতের দোলে দোলাও।
পাঠ ও পাঠভেদ: 
আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে দোলাও,
কে আমারে কী-যে বলে ভোলাও ভোলাও ॥
ওরা কেবল কথার পাকে নিত্য আমায় বেঁধে রাখে,
বাঁশির ডাকে সকল বাঁধন খোলও ॥
মনে পড়ে,কত-না দিন রাতি
আমি ছিলেম তোমার খেলার সাথি।
আজকে তুমি তেমনি ক’রে সামনে তোমার রাখো ধরে,
আমার প্রাণে খেলার সে ঢেউ তোলাও ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের দুটি পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায়।
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 'তাসের দেশ'-এর 
	গান হিসেবে লেখা হয়েছিল।  
	'তাসের দেশ'-এর প্রথম পাণ্ডুলিপি 
	Ms.96 (iv)-তে 
	গানটি ছিল। পরে রবীন্দ্রনাথ 
	Ms.101 
	(iii) তে তাসের দেশ নতুন করে 
	লেখার সময় গানটি বাদ দেন।
	
	উল্লিখিত পাণ্ডুলিপি দুটির সাথে গানটির স্থান ও তারিখের উল্লেখ নেই। 
	প্রভাতকুমার 
মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি (টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট,
	কলকাতা, ডিসেম্বর ২০০৩) গ্রন্থে ১৫টি গানকে উল্লেখ করেছেন—
	‘অনাদিকুমার 
দস্তিদারের খাতা’
	
	থেকে প্রাপ্ত। এই গানগুলোর রচনার স্থান শান্তিনিকেতন এবং রচনাকাল 
উল্লেখ করেছেন,
	‘শরৎ 
১৩২৮’। 
এই গানটি উক্ত ১৫টি গানের একটি। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
	 ৬০ 
বৎসর।
	
	           
	
	[রবীন্দ্রনাথের 
	৬০ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ২৫। পৃষ্ঠা: ২৫। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৫৭। উপবিভাগ: বন্ধু ২৫। পৃষ্ঠা: ২৯। [নমুনা]
নবগীতিকা প্রথম খণ্ড (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। পূজা ১৪। পৃষ্ঠা: ৬৩। [নমুনা]
স্বরবিতান চতুর্দশ (১৪, নবগীতিকা প্রথম খণ্ড) খণ্ডের (বৈশাখ ১৪১৫) ১৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৫৩-৫৫।
		
		রেকর্ডসূত্র:
		১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে 'পরিচয়' 
		ছায়াছবিতে এই গানটি গেয়েছিলেন কানন দেবী। গানটির রেকর্ড নম্বর ছিল
		JNG 5567।
		
		   [সূত্র: রেকর্ডে 
		রবীন্দ্রসংগীত। সিদ্ধার্থ ঘোষ। ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯। 
		পৃষ্ঠা: ৬৩]
		প্রকাশের 
		কালানুক্রম:  
		
		১৩২৯ বঙ্গাব্দে নবগীতিকা প্রথম খণ্ডে 
		
		
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকৃত 
স্বরলিপিসহ 
মুদ্রিত হয়েছিল। ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'প্রবাহিনী' গ্রন্থের পূজা পর্যায়ে গানটি 
		অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
		 
		১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
		সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। 
		১৩৪৮ 
		খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি 
		গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে 
		পূজা পর্যায়ের ৬৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।