৬০ 
বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ 
বৈশাখ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩২৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯২১- ৬ মে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ)
এই বৎসরে ২৫শে বৈশাখ [৮ মে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ সুইজারল্যান্ডে ছিলেন। ইউরোপের নানা দেশ ঘুরে ভারতে ফিরে আসেন জুলাই মাসে। ১৮ই জুলাই তিনি শান্তিনিকেতনে আসেন। শান্তিনিকেতনে এক দিন কাটিয়ে ২০ জুলাইয়ে তিনি কলকাতায় যান। এরপর শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন ১০ শ্রাবণ [মঙ্গলবার ২৭ জুলাই]। ২৭ শ্রাবণ শান্তিনিকেতনে বর্ষাসঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এই অনুষ্ঠানের পরে ২৯ শ্রাবণ [রবিবার ১৪ আগষ্ট] রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় চলে আসেন। শান্তিনিকেতনের আদলে তিনি কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিচিত্রা বাড়ির পিছনে মণ্ডপ তৈরি করে বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। অনুষ্ঠানটি মঞ্চস্থ হয়েছিল ১৭ ও ১৮ই ভাদ্র। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি পাঁচটি নতুন গান রচনা করেছিলেন। গানগুলো হলো—
           
১০ ভাদ্র [শুক্রবার ২৬ আগষ্ট]  
বাদল-মেঘে মাদল বাজে [প্রকৃত-৩৭] [তথ্য]
 
          ১১ ভাদ্র [শনিবার ২৭ 
আগষ্ট]  
ওগো আমার শ্রাবণমেঘের খেয়াতরীর 
মাঝি [প্রকৃতি-৩৮] [তথ্য]
          ১৩ ভাদ্র [সোমবার ২৯ 
আগষ্ট] 
তিমির-অবগুণ্ঠনে বদন তব ঢাকি 
[প্রকৃতি-৩৯] [তথ্য]
          ১৫ ভাদ্র [বুধবার ৩১ 
আগষ্ট] 
এই শ্রাবণের 
বুকের ভিতর আগুন আছে [প্রকৃতি-৬০] [তথ্য]
          ১৭ ভাদ্র [শুক্রবার ২ 
সেপ্টেম্বর] 
মেঘের কোলে কোলে যায় রে চলে 
[প্রকৃতি-৬১] [তথ্য]
 রবীন্দ্রনাথ 
শারোৎসব-এর রূপান্তর করে ঋণশোধ রচনা করেন এবং তা অভিনীত হয়েছিল ১৩২৮ খ্রিষ্টাব্দের 
১৬ আশ্বিন [রবিবার ২ অক্টোবর ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ] তারিখে। এই নাটকের গীতিভূমিকাতে 
তিনি একটি গান যুক্ত 
করেছিলেন। গানটি হলো― 'হৃদয়ে ছিলে জেগে'। 
        ৮ আশ্বিন ১৩২৮ [২৪ সেপ্টেম্বর]। হৃদয়ে 
ছিলে জেগে।
উল্লিখিত নাটকের জন্য রবীন্দ্রনাথ আরও ৫টি নতুন গান রচনা করেছিলেন। গান ৫টি হলো—
আমারে ডাক দিল কে ভিতর পানে। আশ্বিন ১৩২৮।
কেন যে মন ভোলে। আশ্বিন ১৩২৮।
দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে-দেওয়া তোমায় আমায় [পূজা-৩৪৬] তথ্য]
সারা নিশি ছিলেম শুয়ে। আশ্বিন ১৩২৮। মোসলেম ভারত
	হায় গো,ব্যথায় কথা যায় ডুবে যায়। আশ্বিন 
১৩২৮। 
	প্রবাসী
  
	
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় 
তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি (টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কলকাতা, ডিসেম্বর 
২০০৩) গ্রন্থে ১৫টি গানকে উল্লেখ করেছেন—
	'অনাদিকুমার দস্তিদারের খাতা' থেকে 
প্রাপ্ত। এই গানগুলোর রচনার স্থান শান্তিনিকেতন এবং রচনাকাল উল্লেখ করেছেন শরৎ 
১৩২৮। এই গানগুলো হলো—
আমার সুরে লাগে তোমার হাসি [পূজা-১১] [ [তথ্য]
খেলার ছলে সাজিয়ে আমার গানের বাণী[পূজা-২৭] [তথ্য]
আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে [পূজা-৫৭] [তথ্য]
আমায় দাও গো ব'লে। [পূজা-১৯৭] [তথ্য]
বুঝেছি কি বুঝি নাই বা সে তর্কে কাজ নাই [পূজা-৩৪৪] [তথ্য]
দিন অবসান হল
আমার মনের মাঝে যে গান বাজে [প্রেম-২] [তথ্য]
আকাশে আজ কোন্ চরণের আসা-যাওয়া
আমার যদি বেলা যায় [প্রেম-৭৬] [তথ্য]
আমার দোসর যে জন [প্রেম-১৩৪] [তথ্য]
কোথা হতে শুনতে যেন পাই
পূর্ণচাঁদের মায়ায় আজি
তোমরা যা বলো তাই বলো
আমার মনের কোণের বাইরে [প্রেম-১৫৮] [তথ্য]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের বাসন্তিকা পত্রিকার জন্য রবীন্দ্রনাথ একটি গান পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু গানটি ওই পত্রিকায় শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নি। সূত্র : ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ : গোপালচন্দ্র রায়।
এই কথাটি মনে রেখো।
অগ্রহায়ণ মাসে 
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ৬টি গান রচনা করেন। গানগুলো হলো—
        ২ অগ্রহায়ণ ১৩২৮ 
বঙ্গাব্দ [শুক্রবার ১৮ নভেম্বর]। আমি এলেম তারি দ্বারে
        
৪ অগ্রহায়ণ ১৩২৮ 
বঙ্গাব্দ [রবিবার ২০ নভেম্বর]। পাছে সুর ভুলি এই ভয়
        
৫ অগ্রহায়ণ ১৩২৮ 
বঙ্গাব্দ [সোমবার ২১ নভেম্বর]। বসন্ত তার গান লিঝখৈ যায়
        
৯ অগ্রহায়ণ ১৩২৮ 
বঙ্গাব্দ [শুক্রবার ২৫ নভেম্বর]। রজনীর শেষ তারা
        
১০ অগ্রহায়ণ ১৩২৮ 
বঙ্গাব্দ [শনিবার ২৬ নভেম্বর]। দীপ নিবে গেছে মম
        
১২ অগ্রহায়ণ ১৩২৮ 
বঙ্গাব্দ [সোমবার ২৮ নভেম্বর]। সময় কারো যে নাই।
অগ্রহায়ণ মাসে তিনি আরও একটি গান রচনা করেছিলেন। এর তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে জানা 
	যায় না। গানটি হলো
       সার্থক কর সাধন
	
 
১৩২৮ বঙ্গাব্দে ১৩ই পৌষ (বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ) রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে শিলাইদহের পথে যাত্রা করেন।
এই সময় তিনি একটি নাটক রচনা করেন। 
 রাণু'র কাছে লেখা চিঠি থেকে জানা যায়, এই নাটকটির নাম ছিল পথ এবং 
	তিনি পৌষ মাসের ২২ তারিখে শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন। এই সময়ের ভিতরে তিনি  নাটকটির 
প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন। এরপর নানা রকম পরিবর্তন করে তিনি 
	ফাল্গুন মাসে এই নাটক চূড়ান্ত রূপ 
দেন। এই নাটকের ১৪টি গানের ভিতরে ৭টি নতুন 
ছিল। ধারণা করা যায়, এই গানগুলো পৌষ থেকে ফাল্গুন মাসের ভিতরে রচিত। 
	প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে এই গানগুলোর 
	তারিখ উল্লেখ করেছেন ৩০ পৌষ সংক্রান্তি। অবশ্য এই বিষয়ে প্রভাতকুমার কোনো সূত্র 
	উল্লেখ করেন নি। এই ৭টি গান হলো- ১. জয় ভৈরব, জয় শঙ্কর [পূজা-৬০৯] [তথ্য] 
	১৩২৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রবাসী 
	পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের একটি নতুন গান প্রকাশিত হয়। ধারণা করা হয়, গানটি 
	রবীন্দ্রনাথ পৌষ মাসে রচনা করেছিলেন। গানটি হলো 
	১৩২৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন 
	মাসে প্রবাসী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের মোট ৩টি নতুন গান প্রকাশিত হয়। এই গান 
	তিনটি ফাগুন 'পূর্ণিমা শিরোনামে' প্রকাশিত হয়। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 
	গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচিতে এই গান তিনটির রচনা কাল হিসাবে তারিখ নির্দেশ 
	করেছেন। এছাড়া ফাল্গুন মাসে রবীন্দ্রনাথ আরও কয়েকটি গান রচনা করেন। সব মিলিয়ে 
	গানের সংখ্যা ৭টি। গানগুলিও হলো 
	        
	১৩ ফাল্গুন [২৫ ফেব্রুয়ারি]। তার বিদায়বেলায় মালাখানি
২. নমো— যন্ত্র, নমো [বিচিত্র-৭৯] [তথ্য]
৩. আমি মারের সাগর পাড়ি দেব [পূজা-১৯৯] 
[তথ্য]
৪. ভুলে যাই থেকে থেকে 
[পূজা-৭২] [তথ্য]
৫.  
তোর শিকল আমায় বিকল করবে না [পূজা-১৯৮] 
	[তথ্য]
৬. 
      
শুধু কি তার বেঁধেই তোর কাজ ফুরাবে [পূজা-৮৬] [তথ্য]
৭. ফেলে রাখলেই কি পড়ে রবে ও অবোধ [পূজা-৩৪৫] 
[তথ্য]
 
        শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন [বেতাল 
	(মাঘ), প্রবাসী, মাঘ ১৩২৮, ৪র্থ সংখ্যা, পৃষ্ঠা : ৫৫৩]
	
	১৩২৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে রবীন্দ্রনাথ ১টি রচনা করেন। গানটি হলো
        সাধন কি মোর আসন
        ১৫ ফাল্গুন [২৭ ফেব্রুয়ারি]। রাতে রাতে 
	আলোর শিখা
        ২৩ ফাল্গুন [৭ মার্চ]। ফিরে চল মাটির 
	টানে
        ২৮ ফাল্গুন [১২ মার্চ]। ও মঞ্জরী ও 
	মঞ্জরী
        ২৮ ফাল্গুন [১২ মার্চ]। এনেছ ওই শিরীষ 
	বকুল আমের মুকুল
        ২৯ ফাল্গুন, দোলপূর্ণিমা [১৩ মার্চ]। 
	ফাগুনের শুরু হতে
        ২৯ ফাল্গুন, দোলপূর্ণিমা [১৩ মার্চ]। 
	তোমার 
	সুরের ধারা ঝরে যেথায় তারি পারে [পূজা-৩] [তথ্য]
	
	
	
	১৩২৮ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে শান্তিনিকেতন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় একটি গান। এই 
	গানটি দীক্ষা  নামক প্রবন্ধের সাথে মুদ্রিত হয়েছিল। গানটি হলো
        জয় হোক জয় হোক নব অরুণোদয়
	
	১৩২৮ বঙ্গাব্দের ১০ চৈত্র রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে আসেন। ১০ চৈত্র থেকে ১৪ চৈত্র 
	পর্যন্ত তিনি মোট ৫টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো হলো
        ১০ চৈত্র [শুক্রবার, ২৪ মার্চ] 
	পূর্বাচলের পানে তাকাই
        ১১ চৈত্র [শনিবার, ২৫ মার্চ] 
	আসা-যাওয়ার পথের ধারে
        ১২ চৈত্র [রবিবার, ২৬ মার্চ] কার যেন 
	এই মনের বেদন
        ১৩ চৈত্র [সোমবার, ২৭ মার্চ] 
	নিদ্রাহারা রাতের এ গান 
        ১৪ চৈত্র [মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ] এক 
	ফাগুনের গান সে আমার
	
	১৩২৯ 
	বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথ ৬টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে 
	তাঁহার 'অসীম মঙ্গললোক হতে' 
	গানটি রচনা করেছিলেন ৩০ বৈশাখ। বাকি 
	চারটি গান হলো-
        ৪ বৈশাখ ১৩২৯ [সোমবার ১৭ এপ্রিল] এসো 
	এসো হে তৃষ্ণার জল
        ১৪ বৈশাখ ১৩২৯ [ ২৭ এপ্রিল] বৈশাখী হে 
	মৌনী তাপস
        ১৮ বৈশাখ ১৩২৯ [ ১ 
	মে] 
	যারে   নিজে তুমি ভাসিয়েছিলে [পূজা-১৯৬]
	[তথ্য]
        ১৯ বৈশাখ ১৩২৯ [২ মে] ক্লান্ত বাঁশির 
	শেষ রাগিণী
        বৈশাখ ১৩২৯ [?] দারুণ অগ্নিবাণে রে
        বৈশাখ ১৩২৯ [?] বৈশাখের এই ভোরের 
	হাওয়ায়
	প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী 
	অষ্টম খণ্ডে একটি গানকে বৈশাখ মাসে বলে অনুমান করেছেন। এই গানটি হলো
        হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর ফাল্গুনী ঢেউ 
	আসে
শ্রেয়সী পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩২৯ সংখ্যা একটি গান প্রকাশিত হয়। ধারণ করা হয়, 
	গানটি বৈশাখ মাসে রচিত হয়েছিল। এই গানটি হলো
      প্রখর তপন তাপে