গণজাগরণের সূত্রপাত এবং এর ধারাক্রম (১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত)

শাহবাগের গণজাগরণ-এর আদ্যপাঠ
৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি

পরবর্তী অধ্যায় :

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি [মঙ্গলবার], জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই রায় দেন। এই রায় প্রকাশের পর স্বাধীনতার স্বপক্ষীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় জন্ম নেয় শাহবাগ জনজাগরণ।



এ ছাড়া দেশের সব গণজাগরণ মঞ্চে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে প্রতি শুক্রবার বেলা তিনটায় প্রতিবাদী সমাবেশ চলবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি রায় ঘোষণার আগের দিন বেলা তিনটায় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে উপস্থিত হয়ে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংহতি
[সূত্র প্রথম আলো : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-21/news/330957 ]
নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ শাহবাগের আন্দোলনে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংসদ ইসরাফিল আলম, সাংসদ রাশেদ খান মেনন, সাংসদ উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, সাংসদ নুরুল ইসলাম, সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবাহান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান-প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষক, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ, সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবেদ খান, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম শফিউল্লাহ, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, নারীনেত্রী শিরীন আক্তার, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, অজয় রায়, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, মাহফুজা খানম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, কবি ম সামাদ, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান, নাট্যব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, প্রবীণ বামপন্থী নেতা হায়দার আকবর খান রনো, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান, জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা, আহমেদ রফিক, কামাল লোহানী, শেখ জিয়াউল হক, জামিল আক্তার, বরুণ বিশ্বাস, রওশন জামিল, মনসুর মুসা, এস আর মাহমুদসহ অনেক বিশিষ্ট নাগরিক।


 সূত্র :
ইন্টারনেট, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং অনুশীলনের সদস্যদের সংগৃহীত তথ্য।