জনসংখ্যা ও জাতি সত্তা: ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রোয়াংছড়ি
উপজেলার জনসংখ্যা ২২,৬২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২,২৪৩ জন এবং মহিলা ১০,৩৮৬ জন। মোট
জনসংখ্যার ৮.৫১% মুসলিম, ০.৯৭% হিন্দু, ৬৮.৯০% বৌদ্ধ, ১৬.৬৪% খ্রিষ্টান এবং ৪.৯৮%
অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মার্মা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং, বম,
খেয়াং, খুমী প্রভৃতি নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।
উপাসনালয়: এই উপজেলায় রয়েছে ৪টি মসজিদ, ২টি মন্দির, ২৪টি বিহার এবং ৮টি
গীর্জা রয়েছে।
শিক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: এই উপজেলার স্বাক্ষরতার হার ২৩.৮০%। এ উপজেলায়
১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়
রয়েছে।
যোগাযোগ: রোয়াংছড়ি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়ক।
অর্থকরী ফসল:
তিল, ভুট্টা, চিনা বাদাম, সরিষা, মসূর, আলু, মিষ্টি আলু, বারমাসি শিম, ঢেরস,
বেগুন, পাহাড়ী মরিচ ইত্যাদি। মসল্লা জাতীয় ফসলের মধ্যে যেমন- আদা, হলুদ, পেঁয়াজ,
রসুন, তেজপাতা, ধনিয়া, মরিচ, বিলাতি ধনিয়া ইত্যাদি।
প্রাকৃতিক সম্পদ: বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, বাঁশ, বেত, পাথর বালি ইত্যাদি।
প্রাণিজ সম্পদ: গরু, ছাগল, হরিণ, ভাল্লুক, বানর, শুকর, গয়াল, হাতি, ইত্যাদি।
যোগাযোগ:
বান্দরবান
সদর থেকে রুমা উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-রুমা সড়ক।
প্রশাসন: বর্তমানে এই উপজেলাটিতে ৪টি ইউনিয়ন রয়েছে। এগুলো হলো-
রোয়াংছড়ি সদর, তারাছা, আলেক্ষ্যং, নোয়াপতং।
ইতিহাস: ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রুমা,রোয়াংছড়ি থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩
খ্রিষ্টাব্দ রোয়াংছড়িকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
সংসদীয় আসন: ৩০০ পার্বত্য বান্দরবান।
দর্শনীয় স্থান: রোয়াংছড়ি বৌদ্ধ বিহার, তিনাপ সাইতার।
তথ্যসূত্রঃ