রুমা
চট্টগ্রাম [বাংলাদেশ]
বিভাগের
বান্দরবান
জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ভৌগোলিক অবস্থান:
২১°৫৩'-
২১°১০' উত্তর অক্ষাংশ ৯২°১৭'-৯২°৩৪'
পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
বান্দরবান
জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৩ কিলোমিটার। এর উত্তর
রোয়াংছড়ি উপজেলা, পশ্চিমে
রোয়াংছড়ি,
বান্দরবান
সদর ও
লামা উপজেলা, দক্ষিণে
থানচি
উপজেলা এবং পূর্বে
রাঙ্গামাটি
জেলার
বিলাইছড়ি উপজেলা অবস্থিত।
আয়তন: ৪৯২.১০ বর্গকিলোমিটার।
নদনদী ও খাল বিল: এই উপজেলার ভিতর দিয়ে
সাঙ্গু নদী প্রবাহিত হয়েছে।
জনসংখ্যা ও জাতি সত্তা:
২০১১ খ্রিষ্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রুমা উপজেলার জনসংখ্যা ৩০,২০৯ জন। এর মধ্যে
পুরুষ ১৬,০৬২ জন এবং মহিলা ১৪,১৪৭ জন। মোট জনসংখ্যার ৬.৮২% মুসলিম, ১.৫৬% হিন্দু,
৪৪.৬৮% বৌদ্ধ, ৩৭.২৭% খ্রিষ্টান এবং ৯.৬৭% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।এ উপজেলায় মার্মা,
চাকমা, ত্রিপুরা সহ মোট ১১ উপজাতি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
উপাসনালয়:
এই
উপজেলায় রয়েছে ৬টি মসজিদ, ১টি হিন্দু মন্দির, ৩৫টি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে।
অর্থকরী ফসল:
তিল, ভুট্টা, চিনা বাদাম, সরিষা, মসূর, আলু, মিষ্টি আলু, বারমাসি শিম, ঢেরস,
বেগুন, পাহাড়ী মরিচ ইত্যাদি। মসল্লা জাতীয় ফসলের মধ্যে যেমন- আদা, হলুদ, পেঁয়াজ,
রসুন, তেজপাতা, ধনিয়া, মরিচ, বিলাতি ধনিয়া ইত্যাদি।
প্রাকৃতিক সম্পদ: বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, বাঁশ, বেত, পাথর বালি ইত্যাদি।
প্রাণিজ সম্পদ: গরু, ছাগল, হরিণ, ভাল্লুক, বানর, শুকর, গয়াল, হাতি, ইত্যাদি।
যোগাযোগ:
বান্দরবান
সদর থেকে রুমা উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল বান্দরবান-রুমা সড়ক।
প্রশাসন: বর্তমানে এই উপজেলাটিতে ৪টি ইউনিয়ন
রয়েছে। এগুলো হলো- পাইন্দু, রুমা সদর
রেমাক্রিপ্রাংসা ও গ্যালেংগ্যা।
ইতিহাস: ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে রুমা,
রাঙ্গামাটি
জেলার
বান্দরবান
মহকুমার একটি থানা হিসেবে প্রশাসনিক মর্যাদা লাভ করেছিল। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫
ফেব্রুয়ারি
রাঙ্গামাটি
পার্বত্য জেলা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলার আলাদা নামকরণ ও
সীমানা নির্ধারিত হয়।
১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে রুমাকে
বান্দরবান জেলার
উপজেলায় পরিণত করা হয়।
সংসদীয় আসন: ৩০০ পার্বত্য বান্দরবান। ভোটার সংখ্যা ১৪০০০।
দর্শনীয় স্থান:
তথ্যসূত্রঃ