এলাহাবাদ স্তম্ভশিলালিপি
১. মহেন্দ্র কোশল (দক্ষিণ কোশল - আধুনিক ছত্তিশগড়)
২. ব্যাঘ্ররাজ মহাকান্তার (মধ্য ভারত/উড়িষ্যার জঙ্গল এলাকা)
৩ মন্তরাজ কৌরলক (আধুনিক উড়িষ্যার গঞ্জাম জেলা)
৪ মহেন্দ্রগিরি পিষ্টপুর (আধুনিক অন্ধ্রপ্রদেশের পিঠাপুরম)
৫ স্বামিদত্ত কোট্টুর (আধুনিক উড়িষ্যার কোট্টুর)
৬ দমন এরণ্ডপল্ল (আধুনিক অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম)
৭ বিষ্ণুগোপ কাঞ্চি (দক্ষিণের অন্যতম প্রধান পল্লব রাজ্যের রাজধানী) নীলরাজ
৮ হস্তি বর্মণ বেঙ্গি (কৃষ্ণ-গোদাবরী দোয়াব অঞ্চল)
১০ উগ্রসেন পালক্ক (আধুনিক অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের কাছে)
১১ কুবের দেবরাষ্ট্র (আধুনিক অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের কাছে)
১২ ধনঞ্জয় কুস্থলপুর (আধুনিক উড়িষ্যার জয়পুর এলাকা)
এছাড়া ৫টি
রাজ্যেকে কর ও রাজস্ব প্রদান করে আনুগত্য স্বীকার করা। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে কামরূপের উল্লেখ রয়েছে)।
কামরূপ, সমতট (পূর্ব বাংলা), বরাক (মধ্য আসাম).কর্তৃপুর এবং নেপালের মতো সীমান্ত রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা কর দিয়ে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করত।
উত্তর ভারতের ৯ জন রাজাকে পরাজিত করে তাদের রাজ্য সরাসরি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা।
এঁরা হলেন-
১. রুদ্রদেব সম্ভবত উত্তর ভারতের কোনো স্থানের শাসক।
এর লিপি ছিল দেবনাগরী এবং
ব্রাহ্মীলিপি । মূল পাঠ রচনা করেছিলেন- হরিসেন।
তিনি সমুদ্রগুপ্তকে একজন আদর্শ রাজা (যার কোনো শত্রু ছিল না), মহান কবি (কবিরাজ), বিদ্বান, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিল্পকলা ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
২. মতিল মথুরার শাসক হতে পারেন।
৩. নাগদত্ত সম্ভবত মথুরার নাগবংশের শাসক।
৪. চন্দ্রবর্মণ সম্ভবত বাংলা বা উত্তর ভারতের কোনো স্থানের শাসক।
৫ গণপতিনাগ সম্ভবত নাগবংশের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ শাসক।
৬ নাগসেন মথুরা বা মধ্য ভারতের পদ্মাবতীর নাগবংশের শাসক।
৭ অচ্যুত সম্ভবত অহিক্ষত্র বা উত্তর ভারতের অন্য কোনো স্থানের শাসক।
৮ নন্দিন উত্তর ভারতের কোনো স্থানের শাসক।
৯ বলবর্মণ উত্তর ভারতের কোনো স্থানের শাসক।
সপ্তদশ শতকে মুঘল
সম্রাট আকবরের
পুত্র সম্রাট
সম্রাট জাহাঙ্গীর,
লিপিও এই স্তম্ভে খোদাই করা হয়।
এই লিপিতে জাহাঙ্গীরের বংশতালিকা এবং তাঁর পূর্বর্তীতের (যেমন আকবর, হুমায়ুন, বাবর) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীরের সিংহাসনে আরোহণের তারিখ এবং আনুক্রমিক বছরের উল্লেখ রয়েছে।
এই লিপিটি উৎকীর্ণ করার সময় জাহাঙ্গীরের প্রয়াগ (এলাহাবাদ) দুর্গে অবস্থানের স্মৃতি ধরে রাখে।
মুঘল ঐতিহ্য অনুসারে, এই বাণীতেও সম্রাটের মহিমা, ক্ষমতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার গুণগান করা হয়েছে।
এর লিপি ছিল ফারসি এবং নাস্তালিক।
১৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে আকবর এই স্তম্ভটি আল্লাহাবাদ দুর্গের প্রবেশদ্বারের সামনে সরিয়ে আনেন। পালিশ করা পাথরের তৈরি এই স্তম্ভটির উচ্চতা ১০.৭ মিটার এবং এতে অশোকের একটি শিলালিপি খোদাই করা আছে।
এছাড়া মুঘল সম্রাট আকবরের সভাসদ রাজা বীরবলের একটি লিপিও এই স্তম্ভে উৎকীর্ণ আছে।