অনুসর্গবাচক বিশেষণ


বাংলা ভাষায় এমন কিছু অর্থবোধক শব্দ আছে, যেগুলো পৃথকভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় না. কিন্তু অন্য শব্দের পরে বসে পূর্বর্তী পদকে বিশেষিত করে এবং সৃষ্ট শব্দটিকে বিশেষ অর্থ প্রদান করে। বাংলা ভাষায় অনুসর্গ কোনো শব্দের পরে পৃথকভাবে বসলেও, এই জাতীয় অনুসর্গ শব্দের সাথেই বসে। এই জাতীয় বিশেষণগুলোকে অনুসর্গবাচক বিশেষণ চিহ্নিত করা যেতে পারে। যেমন

কারক (
অংশকারক, ক্ষতিকারক, মঙ্গলকারক)
গত (অংশগত)
জনক (মঙ্গলজনক)
 

এই জাতীয় বিশেষণ শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে পুংলিঙ্গবাচক শব্দ সৃষ্টি করলে, তার সাথে স্ত্রীবাচক প্রত্যয় যুক্ত করে স্ত্রীলিঙ্গে পরিণত করা যায়। তবে এক্ষেত্রে অনুসর্গবাচক বিশেষণ যে প্রক্রিয়ায় স্ত্রীলিঙ্গে পরিণত হয়, সেই রীতিই অনুসৃত হয়। যেমন
          পুংলিঙ্গ : কারক. স্ত্রীলিঙ্গ : কারিকা।
এই সূত্রে
অংশকারক শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ হবে অংশকারিকা
                অংশগত শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ হবে অংশগতা

এই জাতীয় বিশেষণের তালিকা
কারক  : [অংশকারক, ক্ষতিকারক, মঙ্গলকারক]
কারিকা : [অংশকারিকা, ]
কারিণী : [অংশগ্রহণকারিণী ]
কারী : [অংশগ্রহণকারী]
গ্রাহিণী : [অংশগ্রাহিণী]
গ্রাহী :[
অংশগ্রাহী]
ধর : [
অংশধর]
ধরা : [
অংশধরা]