ঈ
প্রত্যয়
সংস্কৃত স্ত্রীবাচক
প্রত্যয়।
সংস্কৃত
ईप्>
বাংলা
ঈপ্। সংস্কৃত শব্দের সাথে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়ে স্ত্রীবাচক,
জাতিবাচক শব্দ
সৃষ্টি করে। বিভিন্ন গ্রন্থে এই প্রত্যয়টি বিভিন্ন ভাবে লিখিত হয়ে থাকে। যেমন―
পাণিনির
ব্যাকরণে ঈপ্ কোনো কোনো স্থানে ঙীপ্ বা ঙীষ্ হয়। সকল ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বর্ণ লোপ
পেয়ে প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষ ঈ যুক্ত হয়। এই বিচারে সংস্কৃত 'ঈ' প্রত্যয়টিকে তিনটি
শ্রেণিতে ভাগ করা হলো। এই ভাগগুলো হলো―
ঈ (ঈপ্),
ঈ (ঙীপ্), ঈ (ঙীষ্)
২.
বতুপ্, মতুপ্
এবং ময়ট প্রত্যয়ান্ত শব্দের শেষে এই প্রত্যয় যুক্ত হয় -যথাক্রমে বতী, মতী
এবং ময় উৎপন্ন করে। যেমন―
অংশ +বৎ
(বতুপ)=
অংশবৎ (অংশবান)+
ঈ
(ঈপ্, স্ত্রী অর্থে)=অংশবতী
বুদ্ধি +মৎ
(মতুপ)=
অংশমৎ (অংশমান)+
ঈ
(ঈপ্, স্ত্রী অর্থে)=বুদ্ধিমতী
অংশু {√√অশ্
(ব্যাপ্ত হওয়া)
+উ
(কু),
কর্তৃবাচ্য}} +
ময় (ময়ট্)
=অংশুময়
এই বিচারে যে সকল শব্দ তৈরি হয়, সেগুলি হলো―
অংশ>অংশবান>অংশবতী,
অংশু>অংশুময়>অংশুময়ী,
অংস>অংশবান>অংসবতী,
কীর্তি>কীর্তিমান>কীর্তিমতী
এই
প্রত্যয় যে সকল শব্দের সাথে যুক্ত হয়, সেগুলি হলো-
অনৃণিনী,
অংশাদ>অংশাদী,
চণ্ড>চণ্ডী, করট>করোটী,
করণ>করণী,
কিঞ্চিৎকর>কিঞ্চিৎকরী।
২. ইন্ (ণিনি)
প্রত্যায়ন্ত ন-কারান্ত শব্দের পরে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়। এবং শব্দের শেষ
বর্ণের সাথে ঈ-কার যুক্ত করে। যেমন―
কৃ
(করা) +ইন
(ইনি)
=কারিন্ +ঈ
(ঙীপ্)=কারিণী।
এরূপ―
ঋণিন্>ঋণী,
কর্ণিন>কর্ণিনী কলঙ্কিন>কলঙ্কিনী কামিন্>কামিনী কারিন্>কারিণী কল্যাণিন্>কল্যাণিনী কাক্ষিন্>কাঙ্ক্ষিণী কৃতিন>কৃতিনী কেশিন>কেশিনী |
গামিন্>গামিনী
গ্রাহিন্>গ্রাহিণী তপস্বিন্>তপস্বিনী |
প্রার্থিন্>প্রার্থিনী
বাদি্ন>বাদিনী বিলাসিন্>বিলাসিনী |
মানিন্>মানিনী
মায়াবিন্>মায়াবিনী মেধাবিন্>মেধাবিনী রাগিন্>রাগিণী রূপিন>অংরূপিণী হারিন্>হারিণী |
৩. সাধারণভাবে
স্ত্রীবাচক শব্দ তৈরি করে। যেমন―
√ফল্
(উৎপন্ন হওয়া) +
উন (উনট্)
[গ (গুক) আগম] +
ঈ (ঙীপ্)
=ফল্গুনী