সন্ধ্যামালতী
নজরুলসৃষ্ট রাগ।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি, ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ (সোমবার ২৯ পৌষ ১৯৪৭) সন্ধ্যা ৭.২০টায় কলকাতা বেতারকেন্দ্র থেকে
নজরুল-সৃষ্ট রাগ নিয়ে তৈরি 'নব রাগমালিকা' গীতিনাট্যের প্রথম পর্ব প্রচারিত হয়েছিল। এই গানটি ছিল
এই গীতিনাট্যের
চতুর্থ গান। এটি একটি মিশ্র প্রকৃতির রাগ। এর আরোহণে পিলু, বারোয়াঁ, মূলতানী এবং অবরোহণে মূলতানী রূপ ফুটে ওঠে।
বেতার জগতে এই রাগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে-
'ইহার বিশেষত্ব
অবরোহণকালে একাধারে বারোয়াঁ, ধানী ও মূলতানের রূপ অপূর্ব শ্রী লইয়া ফুটিয়া ওঠে।
অবরোহণে মূলতান ও পিলুর রূপ পরিস্ফুট হয়। সন্ধ্যামালতীর মতই করুণ স্নিগ্ধ ও
মধুর রসের সৃষ্টি করে বলিয়া ইহার নাম সন্ধ্যা মালতী'।
আরোহণ: ণ্ স, জ্ঞ র স, গ ম প,
গ ম প, ণ ধ ম, প ন র্স
অবরোহণ:
র্স ন দ প, হ্ম জ্ঞ র স
ঠাট:
পিলু' রাগের মতো এই রাগটিকেও কোনও নির্দিষ্ট ঠাটাশ্রিত বলা যায় না।
জাতি:
সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: পঞ্চম
সমবাদী
স্বর: ষড়্জ
অঙ্গ:
পূর্বাঙ্গ প্রধান।
পকড় :
ন্ স, জ্ঞ র স, র ন্ দ্ প্, ম্ প্, ণ্ ধ্ ম্, প ন্ স,
গ ম প, দ প, হ্ম জ্ঞ র, ন্ স।
এই রাগে কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান পাওয়া
যায়। গানটি হলো -
শোন্ ও সন্ধ্যামালতী
[তথ্য]
তথ্যসূত্র:
- নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী,
ঢাকা। চৈত্র: ১৪০৫। মার্চ ১৯৯৯। পৃষ্ঠা: ১২২।