আবহাওয়া-বিজ্ঞান
বানান বিশ্লেষণ:
আ+ব্+অ+হ্+আ+ও+য়্+আ-ব্+ই+জ্+ঞ্+আ+ন্+অ
উচ্চারণ :
ab.ɦao.a.
big.gan
(আব্.হাও.আ-বিগ্.গান্)।
শব্দ-উৎস: ফার্সি
আবৱহারা>বাংলা
আবহাওয়া+
সংস্কৃত
বিজ্ঞান>বাংলা
আবহাওয়া-বিজ্ঞান, আবহাওয়াবিজ্ঞান
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ: আবহওয়া বিষয়ক যে বিজ্ঞান/কর্মধারয়
সমাস
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {আবহবিজ্ঞান |
ভূ-বিজ্ঞান |
প্রাকৃতিক বিজ্ঞান |
বিজ্ঞান
|
জ্ঞানশাখা |
জ্ঞানক্ষেত্র |
প্রজ্ঞা |
জ্ঞান |
অভিজ্ঞা |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা | }
অর্থ:
বায়ুমণ্ডল ও বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন প্রপঞ্চসমূহের নিয়ে
বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয়, তারই সাধারণ নাম আবহাওয়াবিজ্ঞান বা আবহাওয়াবিদ্যা।
বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা, প্রবাহ, জলীয়বাষ্পের পরিমাণ, মেঘ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে
বিজ্ঞানসম্মতভাবে আবহাওয়াসংক্রান্ত বিষয়াদি উপস্থাপন করে।
সমার্থক
শব্দাবলি:
আবহাওয়াবিদ্যা,
আবহাওয়াবিজ্ঞান।
ইংরেজি:
Meteorology।
প্রাথমিকভাবে এই বিজ্ঞানকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। ভাগ দুটি হলো-
পর্যবেক্ষণমূলক
আবহাওয়া-বিজ্ঞান (Synoptic
meteorology):
বায়ুমণ্ডলের চলমান ঘটিত বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করে উপাত্ত তৈরি, উক্ত উপাত্ত
বিশ্লেষণ করা হয়। এইভাবে সংগৃহীত তাৎক্ষণিক তথ্যাদি এবং পূর্বে সংগৃহীত আবহাওয়া
সংক্রান্ত ফলাফলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে- আবহাওয়ার পূর্বাভাষ তৈরি করা হয়।
মূলত এই বিজ্ঞানের সাহায্যে কোনো বিশেষ এলাকার আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ের আগাম
ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। আধুনিককালে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস এই কাজগুলি স্থানীয়
পর্যবেক্ষণের দ্বারাই করে থাকে।
আবহাওয়া গতিবিদ্যা (dynamical meteorology): বিভিন্ন কারণে বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরণের গতির সঞ্চার ঘটে। একই সাথে বায়ুর উর্ধ্ব বা নিম্নচাপ, ঘনত্বের হেরফের, তাপমাত্রা, আর্দ্রতার ইত্যাদির কারণে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে বা ঘটতে পারে, তার পূর্বাভাষ প্রদান করে এই বিজ্ঞান।