ঃ (বিসর্গ)
বাংলা বর্ণমালার পরাশ্রয়ী বর্ণ।
বানান বিশ্লেষণ: ব্+ই+স্+অ+র্+গ্+অ।
উচ্চারণ: বি.শর্গ,গো [bi.ʄɔrg.go]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
বিসর্গ>
বাংলা
বিসর্গ
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {পরাশ্রয়ী |
বাংলা বর্ণ |
বর্ণ |
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক |
প্রতীক |
সঙ্কেতচিহ্ন
| যোগাযোগ|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্ত্বা |
সত্তা}
উচ্চারণ ও ব্যবহার
- হ ধ্বনি অঘোষরূপে
উচ্চারিত হলে বিসর্গ ধ্বনি পাওয়া যায়।
- কখনো কখনো এই
বরণটিতে হ-এর মতো উচ্চারিত হয়। যেমন-বাঃ, আঃ, উঃ ইত্যাদি।
- বিসর্গ সন্ধিতে
অনেক সময় এই বর্ণটি র ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয়। যেমন- দুঃ+মূল্য=দুর্মূল্য।
- বিসর্গ সন্ধিতে
অনেক সময় এই বর্ণটি শ বা স ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয়। যেমন- দুঃ+তরয=দুস্তর,
দুঃ+কর=দুষ্কর।
- বিস্ময়, শোক, দুঃখ
প্রকাশে এই বর্ণটি ব্যবহৃত হয়। যেমন- আঃ, উঃ, বাঃ
- তৎসম শব্দের শেষে ঃ
থাকলে, বাংলায় এর উচ্চারণ হয় না। যেমন- বস্তুতঃ, ইতস্ততঃ ইত্যাদি।
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ।
১৪০৮।
- ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব । মুহম্মদ আবদুল হাই রচনাবলী
প্রথম খণ্ড। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৪০১/জুন ১৯৯৪।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান । আবু ইসহাক। চৈত্র
১৪০৯/এপ্রিল ২০০৩।
- বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি.
আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- বাংলা একাডেমী সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান স্বরবর্ণ অংশ। আবু ইসহাক।
ফাল্গুন ১৪০৪/ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮।
- ব্যাবহারিক বাংলা উচ্চারণ অভিধান। আনিসুজ্জামান, ওয়াহিদুল হক, জামিল
চৌধুরী, নরেন বিশ্বাস। জাতীয় গণমাধ্যম ইনসটিটিউট। ৮ ফাল্গুন ১৩৯৪
- ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপম। মে
১৯৮৯।
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক
এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির।
মার্চ ২০০০।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
- সরল বাঙ্গালা
অভিধান। সুবলচন্দ্র
মিত্র।