|
কাঠগোলাপ মূলত প্লুমেরিয়া গণের বৃক্ষ এবং এর ফুলের নাম বিশেষ।
এটি মূলত দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ভারতের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ।
তবে ভারতবর্ষসহ অন্যান্য গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই গাছের বিভিন্ন প্রজাতি এসেছে- মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়ার
এবং কিউবা থেকে। ইউরোপীয়দের দ্বারা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা
মহাদেশ দখলের পর, ক্যারবিয়ান অঞ্চল থেকে এই গাছ ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে চাষ শুরু হয়েছিল।
বিশেষ করে এশিয়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এর ব্যাপক চাষ এর বিভিন্ন প্রজাতির।
ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় এই গাছের ভিন্নতর প্রজাতির অস্তিত্ব বহু আগে থেকেই ছিল। ভারতবর্ষের অরণ্যচারী আদিবাসী সাঁওতাল
জনগোষ্ঠীর ভাষায় এর নাম-গোলাঞ্চবাহা। সংস্কৃতিতে এই
গাছের নাম ছিল- ক্ষুদ্রাতিচপ্পক। মূলত এ গাছের দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত এবং
ভারতের পূর্বাঞ্চলের আদি কাঠচাঁপার বিভিন্ন প্রজাতি বাংলাদেশে
পাওয়া যায়।
এ উদ্ভিদটি মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয়
অঞ্চলের। তাই অধিকাংশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুতে এই গাচটি
ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। সাধারণত বাগান,
মন্দিরে প্রাঙ্গনে, বাড়ির আঙিনায় এই গাছটি রোপণ করা হয়।
প্রজাতিভেদে
এই গাছের কাণ্ড গোলাকার এবং ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে।
এই গাছের পাতা বড় এবং সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। পাতা ৩০ থেকে ৫০ সেমি (১২ থেকে ২০ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা
হয়ে থাকে। শাখাগুলির শেষে পাতাগুলো কাণ্ডের মাথায় পর্যায়ক্রমে গুচ্ছাকারে থাকে।
এ গাছের গুঁড়ি ২৫ সে,মি, পর্যন্ত হতে পারে। শীতকালে পাতাগুলো পড়ে যায়। গ্রীষ্ম এবং শরৎকালে এই গাছে সুগন্ধযুক্ত ফুল ফোটে।
ফুলগুলি শাখার প্রান্তীয় অংশে দেখা যায়। প্রজাতিভেদে নানা বর্ণের ফুল হয়ে থাকে।
এর প্রজাতিগুলো হলো-
সূত্র :