প্লান্টি
plantae

জীববিজ্ঞানের
একটি রাজ্য বিশেষ। এই রাজ্যের সাধারণ নাম উদ্ভিদ জগৎ বা উদ্ভিদরাজ্য ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের এই রাজ্যের নাম
plantae দিয়েছিলেন সেনসু কোপেল্যান্ড।

উদ্ভিদ জগতের ভিতরে রয়েছে সকল স্থলজ উদ্ভিদ, সবুজ শৈবাল, ফার্ন, কোনিফার্স, সপুস্পক উদ্ভিদ ইত্যাদি। এই জগতে রয়েছে প্রায় ৩,২০,০০০ প্রজাতি।

এই রাজ্যের জীবসমূহে রয়েছে
সু-প্রাণকেন্দ্রীয় কোষ। এরা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজ দেহে খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। এদের কোষপ্রাচীর সেলুলুজ দ্বারা নির্মিত। কোষে বৃহদাকার গহ্বর থাকে। দৈহিক কার্যকর্ম চালানোর জন্য রয়েছে কলাতন্ত্র। এদের দেহের কোনো সুনির্দিষ্ট আকার থাকে না।

ক্রমবিবর্তন

ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগের (১৬০-১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) শুরুর দিকে নিউক্লয়াসযুক্ত জটিল কোষযুক্ত জীবের আবির্ভাব ঘটে। এদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বহু ইউক্যারিয়েটিক এককোষী প্রজাতি। এই সময়ে সাগরজলে ভাসমান ইউক্যারিয়োটা স্বক্ষেত্রের জীবকুলের জন্য চলাচল, পরিবেশগত সঙ্কেত গ্রহণ এবং খাদ্যকে আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে এদের দেহে লেজের মতো ফ্লাজেলা তৈরির ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে প্রজাতিভেদে ফ্লাজেলা সংখ্যা ছিল একটি বা দুটি। বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ফ্লাজেলার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে প্রাণিকুলকে ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি  হলো- বাইকোন্টা ও
পোডিয়াটা। এদের ভিতরে পোডিয়াটাদের ছিল একটি ফ্লাজেলা। অন্যদিকে বাইকোন্টাদের ছিল দুটি ফ্লাজেলা।

১৬০-৭৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বাইকোন্টা তিনটি থাকে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-আর্কিপ্লাস্টিডা, হাক্রোবিয়া এবং এসএআর সুপারগ্রুপ।

১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে আর্কিপ্লাস্টিডা থাক ৫টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এগুলো হলো-

প্লান্টি রাজ্যকে বলা হয় সবুজ উদ্ভিদের এই রাজ্য। এই রাজ্যকে বিজ্ঞানীরা নানাভাগে ভাগ করেছেন। ১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই রাজ্য ৪টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগগুলো হলো-