ফ্র্যাগ্‌মোপ্লাস্টোফাইটা
Phragmoplastophyta

জীববিজ্ঞানের
প্লান্টি রাজ্যের একটি থাক বিশেষ।  ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে এই থাকের নামকরণ করেছিলেন লেকোইন্ট্রে এবং গুয়াইয়াডার।

ক্রমবিবর্তন

ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগের (১৬০-১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) শুরুর দিকে নিউক্লয়াসযুক্ত জটিল কোষযুক্ত জীবের আবির্ভাব ঘটে। এদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বহু ইউক্যারিয়েটিক এককোষী প্রজাতি। এই সময়ে সাগরজলে ভাসমান ইউক্যারিয়োটা স্বক্ষেত্রের জীবকুলের জন্য চলাচল, পরিবেশগত সঙ্কেত গ্রহণ এবং খাদ্যকে আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে এদের দেহে লেজের মতো ফ্লাজেলা তৈরির ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে প্রজাতিভেদে ফ্লাজেলা সংখ্যা ছিল একটি বা দুটি। বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ফ্লাজেলার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে প্রাণিকুলকে ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি  হলো- বাইকোন্টা ও
পোডিয়াটা। এদের ভিতরে পোডিয়াটাদের ছিল একটি ফ্লাজেলা। অন্যদিকে বাইকোন্টাদের ছিল দুটি ফ্লাজেলা।

১৬০-৭৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বাইকোন্টা তিনটি থাকে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-আর্কিপ্লাস্টিডা, হাক্রোবিয়া এবং এসএআর সুপারগ্রুপ।

১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে আর্কিপ্লাস্টিডা থাক ৫টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এগুলো হলো-

  • রোডোফাইটা বিভাগ: ১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই বিভাগ থেকে উৎপন্ন হয়েছিল লোহিত শৈবাল বিভাগের জীব।
  • গ্লায়ুকোফাইটা বিভাগ: রোডোফাইটার পাশাপাশি এই বিভাগের শৈবাল পৃথক বিভাগ হিসেবে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল কয়েকটি সূত্রে। প্রথমত এদের দেহকোষে ক্লোরোপ্লাস্টের উদ্ভব হয়েছিল। তাছাড়া এদের বিকাশ ঘটেছিল আদিম স্বাদু জলে। এরা এককোষী হওয়ায় এদের আকার ছিল অতিক্ষুদ্র।
  • প্লান্টি রাজ্য: এই রাজ্য থেকে উৎপন্ন হয়েছিল সবুজ শৈবাল এবং সবুজ উদ্ভিদ।
  • পিকোজোয়া পর্ব: এই পর্ব থেকে উৎপন্ন হয়েছিল ক্ষুদ্রাকার সামুদ্রিক এককোষী জীবকণিকা।
  • ক্রিপ্টিস্টা থাক: এই থাক থেকে উৎপন্ন হয়েছিল শৈবাল-সদৃশ্য এককোষী জীবকণিকা।

প্লান্টি রাজ্যকে বলা হয় সবুজ উদ্ভিদের এই রাজ্য। এই রাজ্যকে বিজ্ঞানীরা নানাভাগে ভাগ করেছেন। ১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে এই রাজ্য ৪টি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগগুলো হলো-