ট্রাকিয়োফাইট
Tracheophyte

জীববিজ্ঞানের
প্লান্টি রাজ্যের একটি থাক বিশেষ।  ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে এই থাকের নামকরণ করেছিলেন কেনরিক এবং ক্রেন। 

ক্রমবিবর্তন

ক্যালিম্মিয়ান অধিযুগের (১৬০-১৪০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) শুরুর দিকে নিউক্লয়াসযুক্ত জটিল কোষযুক্ত জীবের আবির্ভাব ঘটে। এদের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল বহু ইউক্যারিয়েটিক এককোষী প্রজাতি। এই সময়ে সাগরজলে ভাসমান ইউক্যারিয়োটা স্বক্ষেত্রের জীবকুলের জন্য চলাচল, পরিবেশগত সঙ্কেত গ্রহণ এবং খাদ্যকে আকর্ষণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সূত্রে এদের দেহে লেজের মতো ফ্লাজেলা তৈরির ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে প্রজাতিভেদে ফ্লাজেলা সংখ্যা ছিল একটি বা দুটি। বিজ্ঞানীরা এক্ষেত্রে ফ্লাজেলার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে প্রাণিকুলকে ভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগ দুটি  হলো- বাইকোন্টা ও
পোডিয়াটা। এদের ভিতরে পোডিয়াটাদের ছিল একটি ফ্লাজেলা। অন্যদিকে বাইকোন্টাদের ছিল দুটি ফ্লাজেলা।

১৬০-৭৩ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে বাইকোন্টা তিনটি থাকে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ তিনটি হলো-আর্কিপ্লাস্টিডা, হাক্রোবিয়া এবং এসএআর সুপারগ্রুপ।

১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে আর্কিপ্লাস্টিডা থাক চারটি ভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এগুলো হলো-

প্লান্টি রাজ্যকে বলা হয় সবুজ উদ্ভিদের এই রাজ্য। এই রাজ্যকে বিজ্ঞানীরা নানাভাগে ভাগ করেছেন। এই ভাগগুলো হলো-

 চ্যারোফাইটাবিভাগের আবির্ভাব ঘটেছিল ১৬০-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে। এই সময়ের ভিতরেই এই বিভাগ দুটি উপবিভাগে বিভাজিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভাগ দুটি হলো-

ওর্ডোভিসিয়ান অধিযুগ (৪৮.৫৪- ৪৪.৩৮ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) শুরুর দিকে ফ্র্যাগ্‌মোপ্লাস্টোফাইট থাকের উদ্ভিদগুলো পাঁচটি ভাগে বিভাজিত হয়ে যায়। এই ভাগগুলো হলো-

৪৭ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এম্ব্রায়োফাইটা থাকের উদ্ভিদের উদ্ভব হয়েছিল।
৪৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দের দিকে এম্ব্রায়োফাইটা থাক থেকে উদ্ভব হয়েছিল পোলিস্পোরাঙ্গিয়োফাইট থাকের উদ্ভিদ।
৪২.৫ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পোলিস্পোরাঙ্গিয়োফাইট থাক থেকে আবির্ভূত হয়েছিল ভাস্কুলার উদ্ভিদ তথা ট্রাকিয়োফাইট থাকের উদ্ভিদ।
৩১.৯ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ট্রায়াকিয়োফাইট থাকে থেকে উদ্ভব হয়েছিল সবীজ উদ্ভিদ  তথা স্পের্ম্যাটোফাইট থাকের উদ্ভিদ।