এই গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। তবে অনেক গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ হয়।
এটি বহুবর্ষজীবী, গুল্মজাতীয়, ঝোপ উদ্ভিদ। ভেষজ গুল্ম হিসেবে
এর পরিচিতি পাওয়া যায়। এর উচ্চতা ১ থেকে ২
মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এর পাতার গড়ন অনেকটা পানের মতো। লম্বায় দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি হয়ে থাকে।
প্রজতিভদে এ উদ্ভিদের নানা রঙের ফুল দেখা যায়।
ফুলের রঙের মধ্যে আছে হালকা বা কাঁচা হলুদ, লাল, ম্যজেন্ডা, গোলাপী, সাদা ইত্যাদি।
কিছু ফুলে ছোট ছোট তিল বা রেখা দেখা যায়। ফুলের দল থাকে ৪-৫টা। পাপড়িগুলো অবিভক্ত
থাকে।
এদের বীজ ছোট, গোলমরিচের মতো।
সন্ধ্যামালতি ফুল সাধারণত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে রঞ্জক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত, কেক ও জেলি রং করতে ফুলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এর পাতা প্রদাহ কমাতে এবং ক্বাথ ফোঁড়া চিকিৎসায় কার্যকর। এ ছাড়া পাতার রস ক্ষতের চিকিৎসায়ও কাজে লাগে।
বীজের চূর্ণ প্রসাধনী এবং রঞ্জক শিল্পে ব্যবহৃত হয়। তবে বীজ বিষাক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। ব্রাজিলের কায়াপো সম্প্রদায় এবং ভারতীয়রা মাথাব্যথা নিরাময়ে ও ক্ষত ধুতে শুকনো
এই ফুলের গুঁড়ো ব্যবহার করে থাকে। পেরুতে ফুল থেকে উত্তোলিত রস হার্পিসের ক্ষত এবং কানের জন্য ব্যবহৃত হয়। মূল থেকে নেওয়া নির্যাস কানের ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, সিফিলিস এবং লিভারের সংক্রমণের মহৌষধ হিসেবে কার্যকর।